দাঁত ব্যথা হলে করণীয় ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
দাঁত বেদনা
দাত বেদনার বহুবিধ কারণ রয়েছে। যেমন- মুলত দাঁতের অভ্যন্তরস্থ স্তর ক্ষয় হয়ে সেখানে ইনফ্লামেশন হলে, দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন হলে, নতুন দাত উঠার সময় ( বিশেষত আক্কেল দাঁত) ইত্যাদি। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাইনুসাইটিসের বেদনাও দাঁতে অনুভূত হতে পারে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে হার্ট এটাকের বেদনাও দাতে অনুভূত হতে পারে।
দাঁতে বেদনা হলে দ্রুত একজন দন্ত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। ব্যথার ঔষধ শুধু ব্যথার অনুভূতি হ্রাস করে ব্যথার কারণ দূর করে না।
প্রাথমিক চিকিৎসা
কুসুম গরম পানিতে লবন দিয়ে ভালকরে কুলি করা দিনে ৩-৪ বার।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
ঔষধ। ১) এন্টিবায়োটিক ক) জেনেরিক: এমক্সিসিলিন (amoxicillin)
০ ব্রান্ড: ফাইমোক্সিল (Fimoxyl) ০ ডোজ।
- প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে (১২ বছরের ঊর্ধ্বে) : ৫০০ মিগ্রা
দিনে তিনবার।। শিশু: শিশুদের ক্ষেত্রে সিরাপ। ৫-১২ বছর :১.৫ চামচ
থেকে ২ চামচ সিরাপ দিনে তিন বার ৭ দিন।
খ) জেনেরিক: মেট্রোনিডাজল।
| ॥ ব্রান্ড – ফিলমেট; (filmet) প্রস্তুতকারক-বেক্সিমকোণ
। ডোজ: প্রাপ্ত বয়স্ক : প্রতিবার ৪০০ মিগ্রা দিনে তিনবার ৫-৭ দিন।
২) এনালজেসিক ক) প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে
॥ জেনেরিক; ডাইক্লোফেনাক (diclofenac) ও | ব্র্যান্ড: ক্লোফেনাক (Clofenac) এস আর/ টিআর, প্রস্তুতকারক: স্কয়ার
| ০ ডোজ: ১ টি ট্যাবলেট ভরা পেটে। দিনে দুইবার (সকাল+রাত)
সর্বোচ্চ ৩ দিন। জেনেরিক: ইসোমেপ্রাজল (Esomeprazole); ব্রান্ড: ট্যাব-অপটন-২০ (Opton-20) প্রস্তুত কারক-বেক্সিমকো । ডোজ: প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে সকালে ও রাতে খাবার ৩০ মি পূর্বে-১০ দিন।
খ) শিশুদের ক্ষেত্রে।
| জেনেরিক: আইবুপ্রোপ্রোফেন (lbuprofen)
ব্র্যান্ড-ফ্লামেক্স (Flamex)-400, প্রস্তুতকারক-এ. সি. আইচ ডোজ :
০ ৩-৭ বছর: ১ চা চামচ সিরাপ দিনে ৩-৪ বার। ভরা পেটে
০ ৭-১২ বছর : ২ চা চামচ সিরাপ দিনে ৩-৪ বার। ভরা পেটে জেনেরিক: রেনিটিডিন; ব্রান্ড-রেনিডিন (Ranidin) , প্রস্তুতকারক: একমি। ডোজ:
| ০ ৮ বছরের অধিক : ১ টি ট্যাবলেট সকাল+রাত খাবার
৩০ মিনিট পূর্বে। = ৪-৮ বছর : ৭৫ মিগ্রা (১ চামচ) দিনে ২ বার খাবার ৩০ মিনিটি পূর্বে ।
ব্র্যান্ড-নিওসেপটিন আর
- ডোজঃ
। ৮ বছরের অধিক : প্রাপ্ত বয়স্কদেন ন্যায় ॥ ৫-৮ বছর : এক চামচ সিরাপ (৭৫ মিগ্রা) দিনে ২ বার। এ ৫ বছরের নিচে : ২-৪ মিলি সিরাপ দিনে ২ বার।
বি: দ্র: একটি দাঁতে বার বার ব্যথা হলে অনেকেই দাঁতটি ফেলে দিতে চান এমনকি কিছু দন্ত চিকিৎসকও ( বিশেষত নিম্নযোগ্যতা সম্পন্ন) দাঁত ফেলে দেয়ার কথা বলেন। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে দাঁত ফেলে দেয়া কোন চিকিৎসা নয় বরং দাঁতকে রক্ষা করাই প্রকৃত চিকিৎসা। একটি দাঁত একবার ফেলে দেয়ার পর যতই কৃত্রিম দাঁত বাঁধানো হোক তা প্রকৃত দাতের ন্যায় আপনার সেবা করবে না। তাই দাঁত ফেলে দেয়ার আগে বার বার ভাবুন। কোন দাঁত ফেলে দিতে হলে কমপক্ষে দুজন বিডিএস চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। উভয়ের একই পরামর্শ হলে তবেই দাঁত ফেলা যাবে।
অনলাইনে আমাদের অবিজ্ঞ দাক্তারদের থেকে পরামর্শ নিতে এখানে ক্লিক করুন এপয়েন্টমেন্ট