নিরাপদ চিকিৎসা, স্ত্রী প্রজনন রোগ

স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের রোগ ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।

স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের রোগ লক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা

স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের রোগ বলতে স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের যে কোন অংশের রোগকে নির্দেশ করে। এগুলোকে স্ত্রী রোগ হিসেবেও অভিহিত করা হয়।

গাইনেকোলজি বলতে স্ত্রী প্রজনন তন্ত্রের রোগ সংক্রান্ত আলোচনাকে বোঝায়। অবসটেট্রিক্স বলতে গর্ভাবস্থা সংক্রান্ত আলোচনাকে বোঝায়।

স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের সমস্যার ক্ষেত্রে স্ত্রী-রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট প্রেরণ করতে হবে।

 

স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের রোগের সাধারণ কারণ 

জীবাণু ঘটিত ইনফেকশন: ব্যকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস, প্রোপ্রোটোজোয়া ইত্যাদি। অনিয়ন্ত্রিত যৌন জীবন (যা যৌন রোগের কারণ)। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা সঠিকভাবে না মেনে চলা। অপুষ্টি। সুলতা (দেহের ওজন বেশি হওয়া)। অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস মেলাইটাস। মানসিক সমস্যা।

 

স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে করণীয় 

নিরাপদ যৌন জীবন অতিবাহিত করা (যৌন রোগ প্রতিরোধে)।

ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা সঠিকভাবে মেনে চলা। / ১৮ বছরের পূর্বে যৌন জীবন শুরু না করা এবং ২০ বছরের পূর্বে গর্ভধারণ করা।

ঘন ঘন গর্ভ ধারণ না করা (অর্থাৎ দুটি সন্তানের মাঝে নূন্যতম ৪ বছর বিরতি দেয়া)।

নিরাপদ প্রসব ও প্রসব পরবর্তী নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে।

প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাদ্য (যেমন-শাকসজি খাওয়া) এবং অপুষ্টি দূর করা।  সুলতা থাকলে তা দূর করা।

প্রতিদিন হালকা ব্যয়াম করা ।

মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকা।

নিয়মিত ভায়া পরীক্ষা করানো : জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে বিবাহিত মহিলাদের বয়স ২৫ (আমাদের দেশে ২১ বছরও প্রযোজ্য হতে পারে) বছরের বেশি হলে নিয়মিত ভায়া পরীক্ষা করাতে হবে। এটি সরকারী। হাসপাতালে (জেলা সদর, মেডিকেল কলেজ) বিনামূল্যে করানো যায়।

যে কোন ধরণের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

 

স্ত্রী প্রজনন তন্ত্রের সমস্যার প্রধান লক্ষণ

অনিয়মিত মাসিক।

মাসিকে অধিক রক্তক্ষরণ ।

মাসিকের সময় তলপেটে বেদনা (বেদনা যুক্ত মাসিক, পিরিয়ড, ঋতুস্রাব)

সাদা স্রাব ।

পেট ব্যথা

কোমড় ব্যথা।

যৌণ মিলনে অস্বস্তি

বাহ্যিক জননাঙ্গে চুলকানী v জননাঙ্গ বের হয়ে আসা।

বন্ধ্যাত্ব।

স্তন সম্পর্কিত

০ স্তনে চাকা বা গুটি

০ শুনে বেদনা।

০ স্তন বৃন্ত দিয়ে অস্বাভাবিক তরল পদার্থ বের হওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *