স্ক্যাবিস
স্ক্যাবিস হলো এক ধরণের ছোয়াচে চর্মরোগ যা ইচ মাইট নামক কীট দ্বারা সৃষ্ট। সাধারণ ভাষায় একে খোসপাঁচড়া বলা হয়। স্ক্যাবিস হলে ইচ মাইট নামক কীট ত্বকের নিচে বাসা বাঁধে এবং বংশ বিস্তার করতে থাকে। এটি মারাত্বক ছোঁয়াচে । আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এবং তার ব্যবহৃত পোষাক, বিছানা ইত্যাদি থেকে এটি ছড়ায়।
স্ক্যাবিস–এর লক্ষণ
১. চুলকানী
প্রচন্ড, রাতে বিশেষত বিছানায় গেলে বৃদ্ধি।
প্রাথমিক ভাবে আঙ্গুলের ফাকে, হাতে, পশ্চাৎদেশে, জননাঙ্গে। পরবর্তীতে সারা দেহে এটি ছড়িয়ে পড়ে।
২. ফুস্কুরি: প্রথমে আঙ্গুলের ফাঁকে, কজির নিচের দিকে, কনুই, বগলতলা, পুরুষের জননাঙ্গ, কোমড় বরাবর এবং পশ্চাৎদেশে দেখা যায়। এর পর সারা দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে মুখমন্ডলেও আক্রমন হতে পারে।
৩. ফুস্কুরিতে চাপ দিলে পানির মত তরল বের হতে পারে। আক্রান্ত অবস্থা চলতে থাকলে ফুস্কুরিতে পুঁজ বিন্দু দেখা যেতে পারে।
৪. কিছু কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে ক্ষত সৃষ্টিহতে পারে এবং ক্ষতস্থানে পুঁজ দেখা যেতে পারে।
স্ক্যাবিস এর জটিলতা:
স্ক্যাবিস সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে সেখানে ব্যকটেরিয়া দ্বারা ইনফেকশন হতে পারে এবং পরবর্তীতে এই ইনফেকশন কিডনীকে আক্রান্ত করতে পারে।
স্ক্যাবিস–এর চিকিৎসা
সাধারণ ব্যবস্থাপনা
১. পরিবারের সকল সদস্যকে এক সাথে চিকিৎসা নিতে হবে।
২. দেহের সংস্পর্শে আসে এমন সকল কিছু যেমন- বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি ফুটানো গরম পানি দ্বারা পরিস্কার করতে হবে।
ঔষধজ চিকিৎসা
- ১) টপিক্যাল এন্টি স্ক্যাবিস।
= জেনেরিক: পারমেথ্রিন (Permethrin):
ব্র্যান্ড : ক্রিম পারমিন (Permin), প্রস্তুতকারক: একমি ঔষধ ব্যবহারের নিয়মাবলী : পরিমান মত ঔষধ (ঔষধের পরিমান জানার জন্য ঔষধের প্যাকেটের অভ্যন্তরস্থ লিফলেট দেখুন) সারা দেহে (মুখমন্ডল ব্যতিত, ঘাড় থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত) মাখিয়ে ৮-১৪ ঘন্টা রেখে তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে।
২) এন্টি হিস্টামিন ক) মধ্যম মাত্রার সমস্যার ক্ষেত্রে:
। জেনেরিক: সেট্রিজিন (cetirizine)।
ব্রান্ড: এলাট্রল, প্রস্ততকারক: স্কয়ার
ডোজঃ । প্রাপ্ত বয়স্ক ও ছয় বছরের ঊর্ধ্বে শিশুদের ক্ষেত্রে : ১০ মিগ্রা দৈনিক।
। ২-৬ বছরের শিশু : ৫ মিগ্রা প্রতিদিন। খ) তীব্র মাত্রার ক্ষেত্রে।
| জেনেরিক: ফেক্সোফেনাডিন (fexofenadin)
ব্রান্ড: ফেনাডিন (fenadin), প্রস্তুতকারক: রেনাটা ডোজ:
প্রাপ্ত বয়স্ক (১২ বছরের উর্ধে): ৬০-১৮০ মিগ্রা দৈনিক। । শিশু- ৬ মাস থেকে ২ বছর : ১৫ মিগ্রা দিনে ২ বার। । শিশু- ২ বছর থেকে ১১ বছর : ৩০ মিগ্রা দিনে ১-২ বার।
স্ক্যাবিস প্রতিরোধ
১. স্বাস্থ্য শিক্ষা
২. পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত
উন্নত বাসস্থান পরিকল্পনা। তিনি ছিলাম
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা।
৩. আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে।
আক্রান্ত ব্যক্তিকে শিশুদের থেকে দুরে রাখতে হবে।
আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা করাতে হবে।
৪. অন্যান্য স্কুল হেলথ পোগ্রামের মাধ্যমে শিশুদের এই রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।