Respiratory Diseases Symptoms, Treatment and All Methods Physician Speech.
রেসপিরেটরি সিস্টেম বা শ্বাসতন্ত্রের রোগ বলতে শ্বাসতন্ত্রের অন্তর্গত বিভিন্ন অঙ্গের রোগাক্রান্ত অবস্থাকে নির্দেশ করে।
শ্বাসতন্ত্রের রোগের সাধারণ কারণ
শ্বাসতন্ত্রের রোগসমূহের প্রধান কারণগুলো হলো
- জীবাণু: যেমন-ব্যকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদি।
- ধুলোবালি, ফুলের রেণু, পাখির পালক, পশুর ললাম ইত্যাদি অতিক্ষুদ্র বাসাতে ভাসমান বস্তু।
- ধোয়া ও রাসায়নিক পদার্থ ।
- ধুমপান । ইত্যাদি ।
শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধের সাধারণ উপায়
- নোংরা হাতে মুখ মোছা থেকে বিরত থাকা।
- হাঁচি কাশি দেয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করা এবং হাঁচি-কাশির পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা।
- ধুলোময় স্থান এড়িয়ে চলা প্রয়োজনে নাকে-মুখে মাস্ক ব্যবহার করা।
- ধুমপান পরিহার করা।
- শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত রোগীর নিকট থেকে নিরাপদ দুরত্ব (দুই -তিন ফুট) বজায় রাখা।
- শ্বাসতন্ত্রের রোগ দেখা দিলে তা দ্রুত চিকিৎসা করানো।
- যে সকল রোগ প্রতিরেধ টিকা রয়েছে তা দেয়া।
শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার প্রধান প্রধান লক্ষণ সমূহ
- জ্বর
- হাঁচি
- কাশি
- গলায় খুসখুসি ভাব
- শ্বাস কষ্ট
- সায়ানোসিস।
- বুক ব্যথা। ইত্যাদি।
কখন রোগীকে হাসপাতালে পাঠাতে হবে
১. জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট
২. সায়ানোসিস দেখা গেলে।
৩. অবিরাম কাশি যার ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
৪. কাশির সাথে মারাত্বক শ্বাসকষ্ট।
৫. কাশির সাথে সহজে দৃশ্যমান রক্ত আসা।
৬. কাশির সাথে মারাত্বক বুকে ব্যথা।
৭. কাশির সাথে উচ্চ জ্বর থাকলে।
৮. কাশি ৩ সপ্তাহের বেশী হলে।
৯. ঔষধজ চিকিৎসায় ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে রোগীর উন্নতি না হলে।
আমাদের অবিজ্ঞ দাক্তারদের থেকে পরামর্শ নিতে এখানে ক্লিক করুন এপয়েন্টমেন্ট
[videogallery id=”rsd-alo”]
শ্বাসতন্ত্রের রোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ (শিক্ষার্থীদের জন্য)
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ সেবন নিষিদ্ধ
রেসপিরেটরি সিস্টেম বা শ্বাসতন্ত্রের উপর ক্রিয়াশীল ঔষধসমূহকে নিম্নরূপে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে-
কাশির জন্য ব্যবহৃত ঔষধ
- কফ সাপ্রেসেন্ট: বুটামিরেট সাইট্রেট, ডেক্সট্রোমেথরফেন,
- এক্সপেকটরেন্ট; যেমন- এমব্রোক্সল, ব্রোমহেক্সিন।
- মিউকোলাইটিক; যেমন-এসিটাইল সিস্টেইন, মিথাইল সিস্টেইন।
ব্রংকোডাইলেটর।
- সর্ট একটিং বা স্বল্পমেয়াদী ( একিউট স্ট্যাটাস এজমাটিকাসে ব্যবহার করা যায়): সালবিউটামল, টারবিউটালিন, ব্যমবিউটেরল ইত্যাদি।
- দীর্ঘ ক্রিয়াশীল ( একিউট স্ট্যাটাস এজমাটিকাসে ব্যবহৃত হয় না); যেমন- সালমেটেরল, রেপোটেরল, থিওফাইলিন, ডক্সোফাইলিন ইত্যাদি।
রেসপিরেটরি কর্টিকোস্টেরয়েড : বিক্লোমিথাসোন, বুডেসোনাইড, সিক্লিসোনাইড, মোমেটাসন, ট্রায়ামসিনোলোন।
এজমা প্রতিরোধক: যেমন- মন্টেলুকাস্ট, জাফিরলুকাস্ট, কিটোটিফেন
এন্টি হিস্টামিন: ক্লোরোফেনিরামিন মেলিয়েট, সেট্রিজিন, লোরাটাডিন, ফেক্সোফেনাডিন।
সিস্টেমিক এন্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগ; যেমন-এন্টিবায়োটিক (যেমন এমক্সিসিলিন, এজিথ্রোমাইসিন, সেফিক্সিম ইত্যাদি)
এনালজেসিক; যেমন- এনসেইড
এন্টিপাইরেটিক ; যেমন- প্যারাসিটামল
[videogallery id=”rsd-har”]
শ্বাসতন্ত্রের রোগে ঘরোয়া চিকিৎসায়
১। সরিষার তেলঃ শ্বাসতন্ত্রের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারি জিনিস হল সরিষার তেল। সরিষার তেল গরম করে রোগীর বুকে, গলায় এবং পিঠে ভালো করে মালিশ করে দিতে হবে।
২। কফিঃ গরম কফি খেলে শ্বাসতন্ত্রের উপকার হয়। কফি যত কড়া হবে তত বেশি উপকার হবে। তবে বেশি কফি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো নয়।
৩। রসুনঃ রসুন হৃৎপিণ্ড ও শ্বসনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক সাহায্য করে। রোজ তরকারিতে রসুনের কোয়া ব্যবহার করলে শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা কমায়।
৪। আদাঃ শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে আদা অনেক সাহায্য করে। আদা ও মধু দিয়ে চা তৈরি করে খেলে শ্বাসতন্ত্রের উপকার হয় ।
৫। মধুঃ মধু অনেক বেশি কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। দৈনিক মধু খেলে শ্বসনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।