মাইগ্রেইন
মাইগ্রেইন (যা সাধারণত আধকপালে ব্যথা হিসেবে পরিচিত) সচরাচর ভাবেই দেখা যায়। পুরুষ মহিলা উভয়েই এই মাইগ্রেইন সমস্যায় ভোগেন। মাইগ্রেইন -এ মাথা ব্যথার সাথে বমি বমি ভাব, চোখে ঝাপসা দেখা, আগুনের কাছে গেলে মাথাব্যথা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ থাকতে পারে। মাইগ্রেইনের ব্যথা মাথার যে কোন স্থানেই হতে পারে। ব্যথা হলে মাথা ব্যথার প্রাথমিক চিকিৎসা প্রয়োগ করা যেতে পারে।
প্রাথমিক চিকিৎসা
সাধারণ ব্যবস্থাপনা
১. রোগীকে সান্তনা দেয়া ও উদ্বিগ্নতা দূর করতে সাহায্য করা।
২. প্রভাবক কারণ গুলো খুজে বের করে তা দূর করা কিংবা তা এড়িয়ে চলা।
যেমন- ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ, খাদ্য ইত্যাদি।
৩. আক্রমনকালীন:
বিশ্রাম: অন্ধকার, নীরব ঘরে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকতে হবে।
মুখমন্ডল, চোখ ও ঘাড়ের পেছনে শীতল ছোঁয়া দেয়া যেতে পারে।
কাঁধ ও ঘাড়ে হালকা ম্যানেজ ( মর্দন) করা যেতে পারে।
আগুন ও অত্যধিক তাপ থেকে দূরে থাকতে হবে।
ঔষধজ চিকিৎসা
আক্রমনের সময় (মাথাব্যথার সময়) চিকিৎসা
ক) এনালজেসিক:
১) মৃদু ও মধ্যম মাত্রার ক্ষেত্রে |
জেনেরিক: প্যারাসিটামল (paracetamol)
ব্রান্ড-নাপা (Napa) , প্রস্তুতকারক: বেক্সিমকো।
ডোজ: প্রাপ্ত বয়স্ক: ট্যাবলেট-নাপা র্যাপিড এক সাথে দুটো একক মাত্রা। এরপর একটি করে দিনে ৩ বার।
২) তীব্রমাত্রার ক্ষেত্রে
জেনেরিক: টলফেনামিক এসিড (tolfenamic acid); ।
ব্রান্ড-টাফনিল (Tufnil) প্রস্তুতকারক: এস-কে-এফ
ডোজ: প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ১ টি ট্যাবলেট।
খ) ভেস্টিবুলার সাপ্রেসর: মাথাঘুরানো, বমিভাব, বমি থাকলে।
জেনেরিক: প্রোপ্রোক্লোরপেরাজিন (prochlorperazine)
ব্র্যান্ড : ভারগন (Vergon) , প্রস্তুতকারক: অপসোনিন ।
ডোজ: প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ১ টি ট্যাবলেট তৎক্ষনাত
পরবর্তীতে এমবিবিএস চিকিৎসকের নিকট প্রেরণ করতে হবে।