নার্ভাস সিস্টেমে ক্রিয়াশীল ঔষধ ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
সব নার্ভাস সিস্টেমে ক্রিয়াশীল ঔষধ
স্নায়ু রোগে ব্যবহৃত ঔষধ সমূহকে নিম্নরূপে শ্রেণিবিভাগ করা যায়
ক) সিএনএস ড্রাগ: সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের (ব্রেইন ও স্পাইনাল কর্ড) বিভিন্ন বৈকল্যে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সিএনএস (সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম) ডিজরডারের কারনে সৃষ্ট লক্ষণ সমূহ দূর করার জন্য এগুলো ব্যবহৃত হয়। সিএনএস ড্রাগ সমূহকে নিম্নরূপে শ্রেণিবিভাগ করা যেতে পারে।
সিডেটিভ ও হিপনোটিক : এন্টি-সাইকোটিক ড্রাগ (মানসিক সমস্যায় ব্যবহৃত ঔষধ) যা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে দমিত করে ও নিদ্রা আনয়ণ করে। যেমন- ডায়াজিপাম, ব্রোমাজিপাম, ক্লোনাজিপাম, মিডাজোলাম, প্রোপ্রোমিথাজিন ইত্যাদি। |
এন্টিএপিলেপটিক | এন্টিকনভালসেন্ট: খিচুনি চিকিৎসা ও প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। যেমন-কার্বামাজেপাইন, ডায়াজিপাম, ক্লোনাজিপাম, ফেনোবারবিটোন, ভ্যালগোরিক এসিড, গাবাপেনটিন, প্রিগাবালিন ফিনাইটোয়েন ইত্যাদি।
এন্টি ডিপ্রেসেন্ট:এন্টিডিপ্রেসেন্ট সমূহ মৃদু ও মারাত্নক মাত্রার ডিপ্রেসিভ ইলনেস, ফবিক স্ট্যাট (ভীতি), অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজরডার এবং কিছু এংজাইটি ডিজরডার চিকিৎসাকল্পে ব্যবহৃত হয়। যেমন এমিট্রিপটাইলিন, সটাইলিন নরট্রিপটাইলিন, নবটিপটাইলিন মাও মাও ইনহিবিটরসমূহ। (আইসোকার্বোক্সাজাইড, ফিনেলজাইন, ট্রানিসাইপ্রোপ্রোমাইন), এস.এস.আর.আই সমূহ (সিটালোপ্রাম, ইসকটালোপ্রাম, সারট্রালিন)
এন্টি সাইকোটিক: সাইকোসিস এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। যেমন হ্যালোপেরিডল, রিসপেরিডন, অলানজেপাইন, ক্লোরপ্রোপ্রোমাজিন
এন্টি এংজাইটি:এগুলো প্রধাণত সিএনএস ডিপ্রেসেন্ট, যা এংজাইটির লক্ষণসমূহ নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয় তবে এগুলো স্বাভাবিক মানসিক ও শারিরিক ক্রিয়ার উপর প্রভাব বিস্তার করে না। যেমন-ডায়াজেপাম, ক্লোনাজিপাম, প্রমেথাজিন, প্রপানোলল ।
ডাঃ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম
খ) নিউরোমাসকুলার ডিজরডারে ব্যবহৃত ঔষধ: নিউরোমাসকুলার ডিজরডার বলতে এমন প্যাথলজিক্যাল অবস্থাকে নির্দেশ করে যখন মাসলের সাথে সম্পর্কিত নার্ভ এর ত্রুটির কারনে ঐচ্ছিক মাসলের ক্রিয়া বৈকল্য দেখা দেয়। এগুলোকে নিম্নরূপে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। যেমন- নিওস্টিগমাইন, পাইরিডসটিগমাইন, সাইক্লোবেনজাপ্রাইন, টিজানিডিন, টলপেরিসন, বেক্লোফেন ইত্যাদি।
গ) জেনারেল এনেস্থেটিকস : জেনারেল এনাস্থেটিকস হলো এমন ড্রাগ যা প্রত্যাবর্তনযোগ্যভাবে সকল ধরনের অনুভূতি ও চেতনা রহিত করে। যেমন-যেমন হ্যালোথেন, কেটামিন ইত্যাদি।
লোকাল এনেস্থেটিকস :লোকাল এনেস্থেটিকস হলো এমন ড্রাগ যা টপিক্যাল বা ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগে প্রত্যাবর্তন যোগ্য ভাবে দেহের নির্দিষ্ট অঞ্চলে অনুভূতি গ্রহন বিশেষত বেদনানুভূতি রহিত হয়। যেমন-লিডোকেইন।
ঘ) ভেসটিবুলার ডিজরড়ারে ব্যবহৃত ঔষধ: মাথাঘুরানো, বিষমিষা ও বমির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ঔষধ। যেমন-সিনারিজাইন, মেক্লিজাইন, প্রোপ্রোমেথাজিন, প্রোপ্রোক্লোরপেরাজিন, মেটাক্লোপ্রামাইড, অনডাট্রেন ইত্যাদি।
ঙ) পারকিনসনিজম এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ঔষধ: যেমন-লিভভাডোপা, রেমিপিক্সল, ক্যাবেরোলিন, টোকোপন ইত্যাদি।
চ) এনালজেসিক ; যেমন-এনসেইড।
ছ) এন্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগ: যেমন- এন্টিব্যাকটেরিয়াল, এন্টিভাইরাস।
জ) কার্ডিওভাসকুলার ড্রাগ: স্ট্রোক এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
ঝ) ভিটামিন ও মিনারেল: পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেমের সমস্যায় ব্যবহৃত হয়। যেমন-ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অন্তর্ভূক্ত কিছু ভিটামিন।
উপরোক্ত যে কোন ঔষধ প্রয়োগের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ঔষধ সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিতে হবে।