নিরাপদ চিকিৎসা, রক্ত ও হৃদরোগ

জন্ডিসের চিকিৎসা ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।

জন্ডিস

দেহে বিলিরুবিনের পরিমান স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে দেহের ত্বক ও মিউকাস মেমব্রেন হলুদাভ হয়ে যায়। এই অবস্থাকেই জন্ডিস বলা হয়। জন্ডিস নিজে কোন রোগ নয় রোগের লক্ষণ মাত্র। জন্ডিস তিন ধরনের কারনে হতে পারে

 

রক্তের কোষ ভেঙ্গে যাওয়া : অসুস্থতা, অত্যধিক পরিশ্রম, রক্তরোগ ইত্যাদি কারণে রক্তের কোষ অতিরিক্ত হারে ভেঙ্গে যায়। ফলে রক্তে অত্যধিক বিলিরুবিন জমা হয়।

লিভারের সমস্যা: ভাইরাল হেপাটাইটিস (একটি ভাইরাস জণিত রোগ), লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার ইত্যাদি কারণে লিভারের ক্রিয়া হ্রাস পেলে এধরনের জন্ডিস হতে পারে।

পিত্তনালীতে প্রতিবন্ধকতা: পাথর, টিউমার,ক্যান্সার, কৃমি ইত্যাদি কারণে। পিত্তবাহী নালীর প্রতিবন্ধকতা হলে এ ধরনের জন্ডিস হতে পারে।

 

প্রাথমিক চিকিৎসা

সাধারণ ব্যবস্থাপনা : জন্ডিস আক্রান্ত রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে। প্রচুর চিনির শরবত সম্ভব হলে গ্লুকোজ শরবত খাওয়াতে হবে (ডায়বেটিস না থাকলে)। বাজারের মেশিনে মাড়াই আখের রস খাওয়ানো যাবেনা ( ঐ আখের রসেই জন্ডিসের জীবানু থাকে )। রোগীকে ঠান্ডা লাগানো যাবে না। কারণ এ সময় যদি ঠান্ডা লাগানোর কারণে শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন হয় তবে রোগীর জন্য তা মারাত্নক এমনকি প্রানঘাতী প্রমানিত হতে পারে। রোগী স্বাভাবিক খাবার খেতে পারে। তবে চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

 

জন্ডিস যেহেতু বিভিন্ন কারণে হতে পারে, তাই জন্ডিস দেখা দিলেই একজন এম.বি.বি.এস, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কারন নিশ্চিত হয়ে তবেই এর চিকিৎসা দিতে হয়।

 

বি:দ্র: হেপাটাইটিস বি একটি জন্ডিস সৃষ্টিকারী ভাইরাস। এটি খুবই মারাত্মক একটি ভাইরাস। এটি লিভারকে নষ্ট করে ফেলতে পারে এমনকি ক্যান্সারও সৃষ্টি করতে পারে। তাই হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধে আজই টিকা নিন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *