কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
কোষ্ঠ কাঠিন্য
মল বা পায়খানা শক্ত হওয়া কিংবা প্রতিদিন না হওয়াকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। পায়খানা শক্ত হলে মলদ্বারের সমস্যা হতে পারে। এর মূল কারন আঁশ জাতীয় খাদ্য। যেমন- শাকসজি কম খাওয়া, বেশি বেশি মাংস খাওয়া ইত্যাদি।
প্রাথমিক চিকিৎসা
সাধারন ব্যবস্থাপনা
প্রতিদিন সকালে নির্দিষ্ট সময়ে পায়খানায় যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
পায়খানা নরম রাখার জন্য প্রতিদিন প্রতিবেলা এক বাটি শাক খেতে হবে।
প্রতিবেলা খাবারের ঠিক পূর্বে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া যেতে পারে। দুই চামচ ইসবগুলের ভুসি ১ গ্লাস পানিতে ভালভাবে মিশিয়ে ততক্ষণাৎ খেয়ে নিতে হবে।
ঔষধ
কোষ্ঠ কাঠিন্যের ক্ষেত্রে ঔষধ এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম। তবে বেশি সমস্যা হলে
১) ল্যাক্সেটিভ
জেনেরিক: ল্যাকটুলোজ ব্র্যান্ড : তুলোজ (tulos) ; প্রস্তুতকারক- একমি। ডোজ: প্রাপ্ত বয়স্ক : প্রাথমিক ভাবে ১৫ মিলি সিরাপ দিনে দুই বার এবং রোগীর প্রয়োজন অনুসারে মাত্রা হ্রাস করতে হবে।
শিশু
০ ১ বছরের চেয়ে কম বয়স্ক শিশু : ২.৫ মিলি সিরাপ দিনে দুই বার এবং ধীরে ধীরে মাত্রা হ্রাস করতে হবে।
০ ৬-১২ বছর: ১০ মিলি সিরাপ দিনে দুইবার এবং ধীরে ধীরে এর মাত্রা হ্রাস করতে হবে। কারো পায়খানা ১-২ দিন বন্ধ থাকার পর পেট ব্যথা হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।