দ্রোনপুষ্প বা হলকষা গাছ
প্রচলিত নাম : হলকষা
ইংরেজী নাম : Holkosha
বৈজ্ঞানিক নাম : Leucas lavandulae folia Reez.
পরিবার : Labiatae
পরিচিতি : হলকষা বর্ষজীবী ছোট গাছ। গাছটি ত্রিশ থেকে ষাট সেন্টিমিটার উঁচু হয়। এর কাণ্ড চতুষ্কোণ। পাতা লম্বাটে ও রোমশ। ফুলের রঙ সাদা ও লম্বায় এক থেকে দেড় সেন্টিমিটার লম্বা। ফল গোলাকার ও ছোট। বীজ ছোট, লম্বাটে, মসৃণ ও বাদামী রঙের। শীতকালে ইহার ফুল ও ফল হয়।
বিস্তৃতি : বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বত্রই দেখতে পাওয়া যায়, বিশেষ করে রাস্তার ধারে ও চাষের জমিতে।
ব্যবহার্য অংশ : সমগ্র উদ্ভিদ।
ঔষধী ব্যবহার :
১) জন্ডিস রোগে এর ব্যবহার খুবই উল্লেখযোগ্য।
২) এই উদ্ভিদের পাতার রস পাঁচ ফেঁটা, সাত-আট চামচ আখের রস অথবা গ্লুকোজ জলের সঙ্গে মিশিয়ে দু’বেলা পান করলে সাত-আট দিনের মধ্যেই রোগটি সেরে যায়।
৩) এর পাতার রস সর্দি সারায়, মাথার যন্ত্রণা কমায়, শিশুদের ক্রিমি নাশ করে।
৪) দেহে কোন পুরনো দূষিত ঘা থাকলে তাতে এই উদ্ভিদের পাতার রস গরম জলে মিশিয়ে লাগালে ঘা সেরে যায়।
৫) আবার পাতার রস গরম জলে মিশিয়ে নিয়মিত কয়েকদিন কুলকুচি করলে দাঁতের যন্ত্রণার উপশম হয়। এর পাতার রস আবার অরুচি নাশ করে। খিদে বাড়ায়।
৬) হাঁপানি রোগ সারাতেও এর পাতার রস খুব কার্যকরী।
৭) এই উদ্ভিদের মূলের রস প্লীহার দোষ দূর করে, সর্দি, কাশি ও পিত্তঘটিত রোগে খুব কার্যকরী।
৮) চুলকানি হলে স্নানের আগে এর পাতার রস গায়ে মাখলে রোগটি সারে।
৯) আবার বাতের ব্যথায় ও ব্যথাযুক্ত ফোলাস্থানে এর পাতার ক্বাথ লাগালে ফোলা কমে, ব্যথাও কমে। গরুকে এই উদ্ভিদের পাতা খাওয়ালে গরুর দুধ বাড়ে।