হিং গাছ বা হিন্দু গাছ
প্রচলিত নাম : হিন্দু
ইংরেজী নাম : Hing
বৈজ্ঞানিক নাম : Ferula foetida Regil.
পরিবার : Umbellifereae
পরিচিতি : হিং বহুবর্ষজীবী লম্বা বীরুৎ, ২-৩ মি. লম্বা। পত্র কোমল লোমযুক্ত, ২-৪ পক্ষযুক্ত। পত্রের কিনারা কর্তিত। পত্রদণ্ডের শেষভাগের দণ্ডটি বৃহৎ ও পত্রহীন। ফল ১ সে. মি. লম্বা, ০.৭৫ সে. মি. চওড়া, গর্ভাশয়ে মসৃণ লোম আছে। ফুল হলুদ রঙের ও ছোট। ফুলগুলো শাখার মাথায় ছাতার মতো পুষ্প মঞ্জুরীতে সাজানো থাকে। হিং গাছের শিকড় গাজরের মতো।
বিস্তৃতি : এর জন্মস্থান আফগানিস্তান, কাশ্মীর। আমাদের দেশের উত্তরাঞ্চলে পরীক্ষমূলকভাগে এই উদ্ভিদের চাষ করা হচ্ছে।
ব্যবহার্য অংশ : আঠা জীবন্ত গাছের মূলে অর্থাৎ শিকড়ে ক্ষত সৃষ্টি করে রজন জাতীয় যে পদার্থ পাওয়া যায়, তারই নাম হিং ।
ঔষধী ব্যবহার :
১) হিং ক্রিমিনাশক, আক্ষেপনিবারক, সর্দি নিঃসারক, স্নায়ুবিক উত্তেজক, মৃদুবিরেচক ও হিস্টিরিয়ারোগ নিবারক।
২) পেট ফাঁপাজনিত ব্যথায়, হুপিং কাশিতে, কলেরা, অজীর্ণ ও খিচুনী রোগে হিং খুব উপকারী।
৩) হৃদযন্ত্রের অসুখ, শিশুদের ব্রঙ্কাইটিস ও নিউমোনিয়া রোগে হিং ভাল ঔষধ।
৪) শ্বাসতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রের পক্ষে হিং এক উত্তেজক ভেষজ।
৫) হিং গাছের কল্ক কাঁকড়া ও বিছার দংশনের যন্ত্রণায় উপকারী। পেটের পীড়ার প্রতিষেধক। বায়ুরোগ এবং মূৰ্ছারোগে উপকারী।
৬) বীজ উত্তেজক, সুগন্ধি, অগ্ন্যদ্দীপক, ঋতুস্রাবকারক ।