গাছপালা

চিনাবাদাম বা মুগফলি

চিনাবাদাম

প্রচলিত নাম : চিনাবাদাম, মুগফলি

ইংরেজী নাম : Ground nut

বৈজ্ঞানিক নাম : Arachis hypogaea Linn.

পরিবার : Papilionaceae

পরিচিতি : বর্ষজীবী বীরুৎ, মাটিতে ছড়ানো জড়ানো লতাজাতীয় শাখাবিশিষ্ট ফসল উদ্ভিদ। পাতা দু জোড়া পত্রক, ডিম্বাকৃতি, বৃন্ত ফলক থেকে দীর্ঘ, একান্তর, বৃত্তলগ্ন উপ-পত্র। ফুল হলুদ, ক্ষণস্থায়ী, অক্ষীয় নিষেকসম্পন্ন হওয়ার পর পুস্পবৃন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে মাটিতে ঢুকে যায়। সেখানে ডিম্বাধার বিকাশ লাভ করে প্রায় দুমাসে পরিণত হয়ে ফল অর্থাৎ বাদাম হিসাবে আমাদের খোরাক হয়ে যায়। ফল নাট, নলাকৃতি, শক্ত, জালিকাকৃতি আবরণ, অদারিত (ফাটে না) এবং চ্যাপ্টাকৃত ১-৩ বীজ। বীজগুলোর মাঝে ফলত্বক কুঞ্চিত হয়ে যায়। বীজ হালকা বা গাঢ় খয়েরি লালচে রঙের আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে। ভিতরে দুটি সাদা বা মাখন রঙের মাংসল বীজপত্র যা তেল এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। বাদামের আসল আকর্ষণই কিন্তু এ বীজপত্র যা ভোজ্যতেলের যোগান দেয়।

বিস্তার : আদিবাস দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলে। বাংলাদেশের সর্বত্র চাষ হয়।

ব্যবহার্য অংশ : বীজ ও খোসা

ঔষধি ব্যবহার :

১) মধুর রস, স্নিগ্ধ, শীতবীর্য, বলকারক, রুচিকর, রসায়ন, উত্তেজক, স্তন্যবর্ধক, চক্ষুর হিতকর ও বিরেচক।

২) কাঁচা বাদাম স্তনদুগ্ধ বৃদ্ধি করে। পেটের পীড়া এবং ক্ষতরোগে হিতকর। বাদাম গুঁড়া মূত্রযন্ত্রের রোগে উপকারী এবং শরীরে উত্তেজনা আনে। বাদাম স্নায়ুবিক দুর্বলতা দূর করে।

৩) চিনাবাদাম তেলকে ভিটামিন A ও D এবং হরমোনের বাহক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এর তেল ডায়াবেটিস মেরিটাস-এ ব্যবহার করা হয় এবং অন্ত্রনালির সংকোচক হিসাবে কাজ করে। অন্ত্রনালিকে মসৃণ ও পরিস্কার করে। ফ্রেঞ্চ ও গায়ানাতে অন্ত্রনালির ব্যথায় এ তেল ব্যবহৃর করা হয়। ম্যাসাজ হিসাবে ব্যবহার করা হলে এ তেল মাংসপেশির ব্যথা আরাম করে। এ তেল টনিক এবং অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে কাজ করে।

৪) খাদ্যের সঙ্গে বাদামের খোসা পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করা হলে দেহের কোলেস্টেরল মাত্রা নিম্ন করে দেয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *