জ্বরের চিকিৎসা ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
জ্বরের চিকিৎসায় বিভিন্ন প্যাথির ডাক্তারদের বক্তব্য দেখতে ট্যাবে ক্লিক করুন
Fever treatment and all the methods of the doctors.
জ্বর বা ফিভার কি?
দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে তাকে ফিভার (fever) বা জ্বর বলা হয়। মানব দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা মুখে = ৯৮.৬ বগলে = ৯৭.৬ মলদ্বারে = ৯৯.৬ । যদি থার্মোমিটারে তাপমাত্রা এর চেয়ে বেশী দেখায় তবেই তা জ্বর বলে গন্য করা যেতে পারে । জ্বর নিজে কোন রোগ নয়। অন্য যেকোন রোগের সিম্পটম বা সাইন। নিচে জ্বর এবং জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
জ্বরের জন্য হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল বোর্ডে চিকিৎসা নিন
জ্বর হওয়ার কারণ কি?
দেহের বিভিন্ন অঙ্গের রোগাক্রান্ত অবস্থায় জ্বর প্রকাশ পেতে পারে। উল্লেখযোগ্য কারনগুলো হলো:-
১. ইনফেকশন: বিভিন্ন ধরনের জীবাণু; যেমন-ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া, ফাঙ্গাস, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি দ্বারা সংঘটিত হয়। কিছু ইনফেকশনের উদাহরণ
- সিস্টেমিক ইনফেকশন: যেমন- ম্যালেরিয়া, এইডস, ডেঙ্গু ইত্যাদি। |
- রেসপিরেটরি ট্রাক্ট; যেমন- নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েনজা ইত্যাদি ।
- কান: যেমন-অটাইটিস, মাসটোয়ডায়টিস ইত্যাদি।
- ডায়জেস্টিভ ট্র্যাক্ট: কলাইটিস, হেপাটাইটিস, এন্টেরিক ফিভার ইত্যাদি।
- ইউরিনারী ট্রাক্ট: যেমন- সিস্টাইটিস, পাইলোনেফ্রাইটিস ইত্যাদি।
- জেনিটাল ট্রাক্ট: যেমন- পিআইডি।
- নার্ভাস সিস্টেম: মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস ইত্যাদি ।
- মাসকুলোস্কেলেটাল: যেমন-রিউমেটিক ফিভার, অস্টিওমায়েলাইটিস ইত্যাদি।
২. ইনফ্লামেশন: জীবাণু ছাড়াও হতে পারে যেমন- কলেসিস্টাইটিস, প্যানক্রিয়াটাইটিস, পেরিটোনাইটিস, এপেন্ডিসাইটিস ইত্যাদি।
৩. অটোইমিউন ডিজিজ: যেমন- লুপাস, রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ ইত্যাদি।
৪. হরমোন ডিজরডার: যেমন- হাইপারথায়রয়ডিজম।
৫. বিভিন্ন ধরনের মেলিগন্যান্সি: যেমন-লিম্ফোমা ।
৬. ভ্যাক্সিনেশন (টিকাদান): যেমন- ডিপিটি, নিউমোক্কাল ভ্যাক্সিন ইত্যাদি।
৭. ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: যেমন-এমফিটামিন।
৮. হেমাটোলজিক্যাল: যেমন- লিউকেমিয়া।
৯. আয়োট্রোজেনিক (চিকিৎসা জনিত কারণ): যেমন- ট্রান্সফিউশন রিয়াকশন, ড্রাগ উইথড্রল ইত্যাদি।
১০. অন্যান্য: হিট স্ট্রোক, সিলিকোসিস ইত্যাদি।
জ্বরের জন্য হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল বোর্ডে চিকিৎসা নিন
রোগীর অভিযোগঃ
রোগী বা তার অভিভাবক বলবে ডাক্তার বাবু আমার গায়ে জ্বর আমি জ্বরের চিকিৎসা নিতে চাই। জ্বরের সহিত শরীর ব্যথা, কাশি, কাঁপুনী দিয়ে জ্বর আসে, ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, সর্দি, জয়েন্টে ব্যথা, বুকে ব্যথা ও রোগী অচেতন অবস্থায় থাকতে পারে।
জ্বরের চিকিৎসা তে চিকিৎসকের করনীয়ঃ
১. তাপমাত্রা পরিমাপ করা: অবশ্যই বগলে । শিশুদের ক্ষেত্রে বগলে কিংবা পায়ুপথে।
২. পালস দেখা।
৩. শ্বাস প্রশ্বাসের হার দেখা।
৪. বয়স ১০ বছরের বেশি হলে রক্তচাপ দেখা।
৫. পেটের বা শরীরের কোথাও ব্যথার কথা বললে সে স্থান পরীক্ষা করা।
৬, ত্বকে কোন র্যাস বা ফুস্কুরী আছে কি না দেখা।
জ্বরের জন্য হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল বোর্ডে চিকিৎসা নিন
জ্বরের চিকিৎসা এবং সম্ভাব্য রোগ নির্ণয়
জ্বরের সাথে যদি থাকে |
সম্ভাব্য রোগ |
কাশি, সর্দি | শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন |
কাশি, শ্বাস কষ্ট | শ্বাসতন্ত্রের মারাত্মক ইনফেকশন |
কাঁপুনী দিয়ে জ্বর আসা | ম্যালেরিয়া, ইউরিনারী ট্রাক্ট (মূত্রতন্ত্রের) ইনফেকশন |
পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া | পেটের অভ্যন্তরস্থ ইনফ্লামেশন বা ইনফেকশন |
গা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া | ভাইরাস জ্বর |
প্রায়ই জ্বর আসা, গিটে গিটে ব্যথা হওয়া | রিউমেটিক ফিভার |
মাড়ি হতে রক্ত আসা | ডেঙ্গু, লিউকেমিয়া |
ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া | মেনিনজাইটিস |
খিচুনী হওয়া | ব্রেইন এর কোন সমস্যা হওয়া |
শরীরের ত্বকে র্যাস হওয়া | বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ইনফেকশন। যেমন- পক্স, ইবিভি, হারপিস ইত্যাদি সহ কিছু ব্যকটেরিয়ার ইনফেকশনেও হতে পারে। |
পায়খানার রং কালো হওয়া | ডেঙ্গু, টায়ফয়েড |
গলা ব্যথা | টনসিলাইটিস |
কপাল ও চোখের উপরে ব্যথা | সাইনোসাইটিস |
রোগী পরিচর্যা
জ্বরের চিকিৎসা তে সাধারণ ব্যবস্থাপনা।
- কুসুম গরম পানিতে শরীর মুছিয়ে দেয়া।।
- দিনে ৩ লিটার (১২ গ্লাস) পানি পান করা। ডায়বেটিস না থাকলে পানির পরিবর্তে চিনির শরবত পান করা।
- বেশিকরে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া। জ্বরের কারণে খাবার রুচি নষ্ট হলে অল্প অল্প করে বার বার খাবার খাওয়া।
- প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে তদানুযায়ী চিকিৎসা।
জ্বরের জন্য হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল বোর্ডে চিকিৎসা নিন
জ্বরের চিকিৎসা এবং শরীর মোছানোর নিয়মঃ
জ্বরের রোগীর দেহের তাপমাত্রা কমানোর জন্য দেহ কুসুম গরম পানিতে মুছিয়ে দেয়া আবশ্যক। এই প্রক্রিয়াকে টেপিড স্পনজিং বলা হয়।
উপকরন
- পাঁচ টুকরো পরিস্কার সুতি কাপড়
- দুটি পরিস্কার পাত্র
- কুসুম গরম পানি।
জ্বরের চিকিৎসা’য় শরীর মোছানোর প্রক্রিয়া-
১. প্রথমে পানি কিছুটা গরম করে নিতে হবে।
২. পানিতে কনুই দিয়ে দেখতে হবে উষ্ণতা অনুভব হয় কিনা। একটি পাত্রে পানি ঢেলে নিতে হবে।
৩. নিজের হাত ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
৪. রোগীর দেহের তাপমাত্রা মেপে নিতে হবে এবং তা মনে রাখতে হবে।
৫. এক টুকরো কাপড় পানিতে ভিজিয়ে মুখমন্ডল ও ঘাড় মুছিয়ে দিতে হবে। চোখ স্পর্শ করা যাবে না। এরপর কাপড়টিকে পানি ছাড়া পাত্রে রেখে দিতে হবে।
৬. দ্বিতীয় টুকরো কাপড় দিয়ে এক হাতের উপরের বাইরের অংশ থেকে মুছা। শুরু করে হাতের আঙ্গুল পর্যন্ত যেতে হবে এবং ভেতরের অংশ মুছে উপরের দিকে আসতে হবে। অবশেষে কাপড়টি বগলে দিয়ে রাখতে হবে।
৭. তৃতীয় টুকরো কাপড় দ্বারা অন্য হাত উপরোক্ত নিয়মে মুছতে হবে।
৮. চতুর্থ টুকরো কাপড় দিয়ে এক পায়ের উপরের বাইরের অংশ থেকে মুছা শুরু করে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত যেতে হবে এবং ভেতরের অংশ মুছে উপরের দিকে আসতে হবে। অবশেষে কাপড়টি কুঁচকির ভাজে দিয়ে রাখতে হবে।
৯. পঞ্চম টুকরো কাপড় দিয়ে একই নিয়মে অপর পা মোছাতে হবে।
১০. প্রথম টুকরোটি আবার পানিতে ভিজিয়ে পেট ও পিঠ মুছে দিতে হবে।
১১. এই প্রক্রিয়ার মাঝে পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে পুনরায় গরম পানি দিতে হবে।
১২. এভাবে পুরো প্রক্রিয়াটি ১৫ মিনিট ধরে করতে হবে। এরপর তাপমাত্রা মাপতে হবে। তাপমাত্রা না কমলে আবার ১৫ মিনিট ধরে এই প্রক্রিয়া করতে হবে।
১৩. রোগীর শরীর ভালভাবে মুছিয়ে শুকনো করে নিতে হবে।
১৪. অবশেষে পরিচর্যাকারীর হাত আবার ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
উপরোক্ত নিয়মে সম্ভব না হলে একটি পরিস্কার কাপড় কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে প্রথমে মুখমন্ডল মুছে নিয়ে তারপর হাত, দেহ ও পা মোছানো যেতে পারে।
জ্বরের ক্ষেত্রে রোগীর মাথায় পানি ঢালাটা জরুরী নয়। তবে মাথা শীতল রাখার জন্য একবার সামান্য পানি ঢাললেই চলে। অনেক্ষণ ধরে মাথায় পানি ঢাললে তা রোগীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। পানি ঢালার পর মাথা অবশ্যই ভাল করে মুছিয়ে দিতে হবে।
জ্বরের জন্য হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল বোর্ডে চিকিৎসা নিন
রোগীকে কখন হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে?
- উচ্চ মাত্রার জ্বর (১০৫ – তদুর্ধ, শিশুদের ক্ষেত্রে ১০৪+) যা প্রাথমিক চিকিৎসাতেও উন্নতি হচ্ছেনা।
- জ্বরের সাথে কাশি ও শ্বাসকষ্ট।
- জ্বরের সাথে রক্ত ক্ষরণ (মাড়ি হতে রক্ত আসা, নাক দিয়ে রক্ত আসা, ত্বক দিয়ে রক্তক্ষরণ হওয়া, মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ হওয়া )
- জ্বরের সাথে ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া।
- জ্বরের সাথে অচেতনতা।
- জ্বরের সাথে খিচুনী হওয়া।
- প্রায়ই জ্বর আসা, গিটে ব্যথা হওয়া।
- জ্বরের সাথে পায়খানার বর্ণ আলকাতরার ন্যায় কালচে হওয়া।
- এক নাগাড়ে ৭ দিনের বেশি জ্বর হওয়া।
[videogallery id=”fever-homeo”]
.
আমাদের মেডিক্যাল বোর্ডে চিকিৎসা নিতে নিচে দেয়া
ডাক্তারদের পরিচিতি ও টিউটোরিয়াল দেখে এপয়েন্টমেন্ট নিন
.
[videogallery id=”fever-alo”]
জ্বরের চিকিৎসা তে ব্যবহৃত ঔষধ
ক) এন্টিপাইরেটিক
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জ্বরের চিকিৎসা
ট্যবলেট: নাপা র্যাপিড (NAPA RAPID) ( জেনেরিক: প্যারাসিটামল ফাস্ট রিলিজ; প্রস্তুতকারক: বেক্সিমকো ) ডোজ: ১ টি ট্যবলেট ৬ ঘন্টা পর পর কিছু খাবার পর।
শিশুদের ক্ষেত্রে
সিরাপ: নাপা (NAPA) (জেনেরিক: প্যারাসিটামল; প্রস্তুতকারক: বেক্সিমকো)
ডোজঃ
- ৬ মাসের কম বয়স্ক: ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- ৬ মাস থেকে ১ বছর বয়স: আধা চা চামচ দিনে ৩-৪
- বার।
- ১ বছর থেকে ২ বছর: এক চা চামচ দিনে ৩-৪ বার। ।
- ২ বছর থেকে ৫ বছর: দেড় থেকে দুই চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।
- ৫ থেকে ১২ বছর : ২-৪ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।
জ্বর ১০৩ ডিগ্রী বা তার বেশী হলে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি (পায়খানার রাস্তায় ব্যবহার্য ঔষধ) ব্যবহার করাই উচিৎ। দিনে সর্বোচ্চ ২ টি সাপোজিটরি ব্যবহার করা যেতে পারে। এক বেলা সাপোজিটরি দিয়ে অপর বেলা সিরাপ বা ট্যাবলেট সেবন করা যেতে পারে। কিছু ব্রান্ড ও নির্দেশনা।
- এইস (ACE) সাপোজিটরি-১২৫ মিগ্রাঃ ২ বছরের কম বয়স্ক শিশুদের জন্য।
- এইস সাপোজিটরি-২৫০ মিগ্রা: ১০ বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য।
- এইস সাপোজিটরি-৫০০ মিগ্রা: ১০ বছরের উর্দ্ধে ও প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য।
শিশুদের বিশেষত দুই বছরের কম বয়স্ক শিশুদের জ্বরে (সাধারণত ১০৩ ডিগ্রী এর বেশি হলে) খিচুনী হতে পারে। যা শিশুর মস্তিস্কের বিকাশের জন্য ক্ষতিকর। তাই দেহের তাপমাত্রা সবসময় কমিয়ে রাখতে হবে। তাৎক্ষণিক জ্বর, কমানোর জন্য কুসুমগরম পানিতে শরীর মুছিয়ে দেয়া ও সাপোজিটরি ব্যবহার করা যেতে পারে।
খ) এন্টিবায়োটিক:
প্রথম ২-৩ দিন এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন নেই। যদি ব্যকটেরিয়া ইনফেকশন সন্দেহ না হয় তবে এন্টিবায়োটিক দেয়ার প্রয়োজন নেই। কারন এতে কোন লাভ হবেনা। ভাইরাস জ্বরে এন্টিবায়োটিক কোন উপকারে আসে না। তবে যদি ইনফেকশন সন্দেহ হয় যেমন
বি: দ্র: একসাথে দুটি এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না। এসকল ক্ষেত্রে শক্তিশালী এন্টিবায়োটিকটিই ব্যবহার করতে হবে। আমাদের HD Health এর অবিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
সিম্পটম/সাইন | এন্টিবায়োটিক | |||||||||||||||
কাশির সাথে বুকে ব্যথা | জেনেরিক: এমোক্সাসিলিন (AMOXICILIN)
ব্র্যান্ড: ফাইমোক্সিল (FIMOXYL) ক্যাপসুল ৫০০: প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনে দুটি করে ৭ দিন। ফাইমোক্সিল সিরাপ: শিশুদের ক্ষেত্রে।
|
|||||||||||||||
জ্বর ৫ দিনের বেশী | সিপ্রোপ্রোফ্লোক্সাসিন (CIPROFLOXACIN) ট্যাব- সিপ্রোপ্রো-এ -৫০০ (CPRO-A-500} : প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য সকালে ও রাতে এভাবে
৭ দিন। |
গ) অন্যান্য আনুষাঙ্গিক লক্ষণ ভিত্তিক ঔষধ
লক্ষণ | ঔষধ |
বমি বমি ভাব ও বমি | ১) অমিপ্রাজল।
বমি সংক্রান্ত (OMEPRAZOLE) বিস্তারিত চিকিৎসার ট্যাব- সেকলো-২০ (SECLO): জন্য পরিপাকতন্ত্রের প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে খাবার ৩০ | রোগ অংশ দেখুন।। মিনিট আগে সকালে ও রাতে। কমপক্ষে ৭ দিন। ২) অনডাট্রেন (ONDASETRON) ট্যাব – অনসেট-৮ (onsat-8) : খাবার ৩০ মিনিট আগে দিনে। দুইবার ৩ দিন। বা বমি থাকলে আরও বেশি দিন। বেশি বমি থাকলে ইনজেকশন দিতে হবে।। |
ঘুম কম হলে | ১) নাপা এক্সট্রা দেয়া থাকলে তা বন্ধ করতে হবে। ২) জেনেরিক: ক্লোনাজিপাম (clonazepam)ঔষধ যেমন ট্যাব ক্লোনাট্রিল ০.৫। (CLONATRIL) : প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে শুধু রাতে। |
সর্দি থাকলে | ১) এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ
যেমন; ট্যাব পিরিটন। (PIRITON): প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য রাতে দুটি। ২) শিশুদের ক্ষেত্রে সিরাপ ফ্যানারগ্যান (PHANARGAN) |
রোগী বেশি দুর্বল হলে | ১) বমি হয়ে থাকলে ডিএনএস
স্যালাইন দিতে হবে। ২) বমি কম হলে বা না থাকলে প্রথমে ডিএনএস তারপর ডিএ স্যালাইন দিতে হবে। |
জ্বর পরবর্তী দূর্বলতার জন্য | ১) মাল্টিভিটামিন সিরাপ জোভিয়া গোল্ড (ZOVIA GOLD) |
বি: দ্র: অন্যান্য লক্ষণ থাকলে তার চিকিৎসা তদানুযায়ী করতে হবে।
[videogallery id=”fever-harbal”]
জ্বরের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হারবাল পদ্ধতি
আপনি কি জানেন?
ভাইরাসজনিত জ্বর থেকে সুরক্ষায় কিছু হারবাল উপাদান সবচেয়ে বেশি কাজ করে। এসব খেলে ঠাণ্ডা-জ্বর এমনি এমনই ভালো হয়ে যায়। ওষুধ খাওয়ার তেমন কোনও প্রয়োজন হয় না। জ্বর হলেই অনেকে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল খান।প্যারাসিটামল শরীরের তাপমাত্রা কমাতে পারে হাইপোথ্যালামাসের সেট পয়েন্ট কমিয়ে। তা তো শুধু সিম্পটম রিলিভ। জ্বরের কারণ হিসেবে জীবাণু থেকেই যায়।
বেশিরভাগ জ্বরই হয়ে থাকে ভাইরাসজনিত কারনে। এসব ক্ষেত্রে কোনো ওষুধ লাগে না। এমনিতেই পাঁচ থেকে সাত দিন পর সেরে যায়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে জ্বর কমানোর উপায় রয়েছে । জ্বর নামাতে শরীরের নিজস্ব কৌশল আছে। কাঁপুনি ও শীত শীত অনুভূতির মাধ্যমে জ্বর আসে। এরপর ঘাম দিয়ে ছেড়ে যায়। এ সময় শরীর বাড়তি তাপমাত্রা হারায়। আমাদের মনে অনেক সময় অনেক প্রশ্ন আসে যেমন, জ্বর হলে কি ভাত খাওয়া যাবে? জ্বর হলে কি ফল খাওয়া উচিত? জ্বর হলে ডিম খাওয়া যাবে কি?
আসুন এবার আমরা জেনে নেই জ্বর হলে কী খাবেন অর্থাৎ জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত:-
১। আদা চা
জ্বর হলে খেতে পারেন আদা চা। চায়ের মধ্যে এক বা দু টুকরো আদা, এলাচি, লবঙ্গ বা খানিকটা মধু মিশিয়ে এই হারবাল চা খুব সহজে তৈরি করা যায়। অথবা এক বাটি গরম স্যুপ খেলেও দেখবেন ঘাম হচ্ছে এবং জ্বর নেমে যাচ্ছে।
২। আনারস
আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়াও জিহ্বা, তালু, দাঁত, মাড়ির যে কোনো অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এই আনারস।গরম-ঠাণ্ডাজ্বর, জ্বর-জ্বর ভাব দূর করতে মাঝে মাঝে আনারস খেতে পারেন। এতে রয়েছে ব্যথা দূরকারী বিশেষ উপাদান। এছাড়া আনারস কৃমিনাশক। কৃমি দূর করার জন্য খালি পেটে অর্থাৎ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আনারস খাওয়া যেতে পারে।
৩। তরলজাতীয় খাবার
আমরা জানি যে, জ্বর হলে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে। নয়তো জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাবে বা গাঢ় হয়ে যাবে। তাই জ্বর হলে অবশ্যই দিনে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করুন।
৪। ভিটামিন সি
সবজি মেশানো জাউভাত, স্যুপ , পরিজ, ওটমিল ইত্যাদি যথেষ্ট পুষ্টি জোগাবে। অরুচি হলেও ফলের রস বা ফল খেতে চেষ্টা করুন। বিশেষ করে ভিটামিন সি-যুক্ত ফল, যেমন: কমলা, মালটা, লেবু, জাম্বুরা, আনারস ইত্যাদি। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে অনেক সাহায্য করবে। এগুলো হল জ্বর কমানোর খাবার ।
৫। ডাক্তারের পরামর্শ
জ্বর ১০৫ ডিগ্রির ওপর উঠে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া কাশি, পেটব্যথা, প্রস্রাবে জ্বালা, বেশি বমি হলে, জ্বরের ঘোরে অসংলগ্ন আচরণ করলে বা অচেতনের মতো হলে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে নেয়া জরুরি।
[videogallery id=”fever-alo”]
[videogallery id=”fever-homeo”]
[videogallery id=”fever-harbal”]