নিরাপদ চিকিৎসা, রেকটাম ও কোলনের রোগ

আমাশয় রোগের লক্ষণ ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।

আমাশয়

পায়খানার সাথে মিউকাস (সাধারণ ভাষায় আম/বিজল) বের হওয়াকে আমাশয় বলা হয়। আমাশয় জীবানু বা অন্যান্য কারনে হতে পারে।

সাধারণভাবে আমাশয়কে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে

১. এমিবিক ডিসেন্টেরি: এ ধরনের আমাশয়ের কারণ এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা নামক প্রোপ্রোটোজোয়া। এ ক্ষেত্রে মলে বিজল থাকে। পেট বেদনা থাকতে পারে। সাধারনত মলে রক্ত থাকে না। মলে তীব্র দুর্গন্ধ থাকে।

২. ব্যাসিলারী ডিসেন্টেরি : এ ধরনের আমাশয়ের কারণ সিগেলা ডিসেন্টেরি নামক ব্যকটেরিয়া। এ ক্ষেত্রে মলের সাথে বিজল ও রক্ত থাকে। তলপেটে বেদনা থাকতে পারে। গায়ে জ্বর থাকতে পারে। মলে তুলনামূলক কম দুর্গন্ধ

থাকে।

৩. ক্রনিক ডিসেন্টেরি: এ ক্ষেত্রে রোগী প্রায়ই আমাশয়ে আক্রান্ত হয়। ক্ষেত্র বিশেষে প্রতি মাসে ১-২ বার এমনকি প্রতি সপ্তাহেও হতে পারে। এ ধরনের আমাশয়ে কোন জীবানু থাকে না। এটি মূলত ইন্টেস্টাইনের রোগ।  ইন্টেস্টাইনে আলসার, পলিপ,টিউমার, ক্যান্সার, টিউবারকুলোসিস ইত্যাদি হলে এটি হতে পারে।

 

প্রাথমিক চিকিৎসা সাধারন ব্যবস্থাপনা

অবশ্যই বার বার খাবার স্যালাইন খেতে হবে। প্রতিবার পায়খানা থেকে ফেরার পর আধা পোয়া থেকে আধালিটার পর্যন্ত খাবার স্যালাইন খেতে হবে।

কাচা ও পাকা পেপে, বেল উপশম ঘটাতে পারে।

ঔষধ।

১) এন্টি-এমিবিক: এমিবিক ডিসেন্টেরির ক্ষেত্রে অর্থাৎ মলে রক্ত না থাকলে

জেনেরিক: মেট্রোনিডাজল;

ব্রান্ড – ফিলমেট; (filmet)

প্রস্তুতকারক-বেক্সিমকো

ডোজ : সাধারণভাবে

  • প্রাপ্ত বয়স্ক : প্রতিবার ৪০০ মিগ্রা দিনে তিনবার ৫-৭ দিন।
  • শিশু: ১০-২০ মিগ্রা/কেজি দিনে ২-৩ বার।।

 

বয়স

দৈনিক

সর্বোচ্চ | ১ – ২ বছর | ৪০০ | আধা চামচ – এক চামচের তিনভাগের দুই ভাগ

মিগ্রা। হিসেবে দিনে তিন বার ৩-৭ বছর। ৬০০ ১ চামচ দিনে তিন বার

মিগ্রা , ২০০ মিগ্রা ট্যাবলেট দিনে ৩ বার। | ৭-১০ বছর ১০০০ দেড় চামচ দিনে তিন বার।

মিগ্রা। ৪০০ মিগ্রা ট্যাবলেট দিনে ২ বার।

 

২) এন্টিবায়োটিক: ব্যাসিলারী ডিসেন্টেরির ক্ষেত্রে। অর্থাৎ রক্ত আমাশয়ের ক্ষেত্রে | ॥ জেনেরিক: সিপ্রোপ্রোফ্লোক্সাসিন; (ciprofloxacin)।

ব্র্যান্ড -সিপ্রোপ্রোসিন (ciprocin) প্রস্তুতকারক স্কয়ার) { ডোজর

ডাঃ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম

৫৪৮

প্রোপ্রোপ্রোপ্রোপ্রোপ্রোপ্রোপ্রোডাঃ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম

 

প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮বছরের উর্দ্ধে ) : ৫০০-৭৫০ মিগ্রা দিনে ২ বার কমপক্ষে ৭ দিন। ব্যাসিলারী আমাশয় এর ক্ষেত্রে ১ গ্রাম একক মাত্রা এর পর ৫০০

মিগ্রা দিনে দুইবার মোট ৭ দিন।

শিশুদের ক্ষেত্রে ; সর্বোচ্চ মাত্রা : -১৫ মিগ্রা/কেজি, ১২-১৮: ২০ মিগ্রা

কেজি

বয়স

|গড় একক মাত্রা। ১-৩ বছর। | | ১২৫ মিগ্রা। | আধা চামচ দিনে দুইবার ৪-৬ বছর ১৬০ মিগ্রা। এক চামচের তিনভাগের দুই ভাগ দিনে দুই

বার। ৭-৯ বছর। ২৫০ মিগ্রা। । ১ চামচ বা একটি ২৫০ মিগ্রা ট্যাবলেট

দিনে দুই বার। ১০-১২ বছর

প্রাপ্ত বয়স্কদের মাত্রা।

 

বিঃদ্রঃ কিছু কিছু রক্ত আমাশয়ের ক্ষেত্রে এন্টিএমিবিক ও এন্টিবায়োটিক উভয়ই প্রয়োজন হতে পারে। রক্ত আমাশয়ের ক্ষেত্রে ১ বছরের কম বয়স্ক শিশুর ক্ষেত্রে অবশ্যই হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।

শিশুদের ক্ষেত্রে আমাশয়ের একটি নিরাপদ ন্যাচারাল প্রস্তুতি রয়েছে। এটি ব্যবহার করলে এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নাও হতে পারে। ব্রান্ড: সিরাপ-এমোসিড (স্কয়ার ন্যাচারাল)। ডোজ:

৬ বছরের কম বয়স্ক শিশু- আধা চামচ -এক চামচ দিনে ২-৩ বার । ৭ দিন।

৭ বছর থেকে ১২ বছর: ১ চামচ দিনে তিন বার। ৭ দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *