খিচুনি থেকে পরিত্রাণের উপায় ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
খিচুনী
এটি স্নায়ুতন্ত্রের একান্ত নিজস্ব সমস্যা। বিভিন্ন কারনে খিচুনী হতে পারে। যেমন-উচ্চ মাত্রার জ্বর (শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় ), মৃগী, একলাম্পসিয়া (গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে), টিটেনাস, মস্তিস্কে টিউমার ইত্যাদি।
প্রাথমিক চিকিৎসা
সাধারণ ব্যবস্থাপনা : খিচুনীর সময় যা করনীয়
আক্রান্ত ব্যক্তিকে চুলা, আসবাব, সিড়ি কিংবা রাস্তা থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখতে হবে।
খিচুনীর সময়
কাপড় চোপড় হালকা করে দিতে হবে।
আক্রান্ত ব্যক্তির সঞ্চালনকে (হাত পা নাড়ানো) বাঁধাগ্রস্ত করা যাবেনা।
খিচুনীর সময়কাল ও বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
এ সময় রোগীকে কিছু খেতে বা পান করতে দেয়া যাবে না।
খিচুনী শেষ হওয়ার পর
আক্রান্ত ব্যক্তিকে রিকভারী পজিশন-এ রাখতে হবে যাতে তার মুখের লালা কিংবা বমি বেরিয়ে যায়।
আক্রান্ত ব্যক্তিকে শান্ত ও আরামদায়ক পরিবেশে রাখতে হবে।
আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাকে একা ফেলে যাওয়া যাবে না।
শিশুদের জ্বর হলেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করতে হবে। প্রচন্ড জ্বরে শিশুর খিচুনী হলে শিশুর মস্তিস্কের ক্ষতি হতে পারে।
কারো খিচুনি দেখা দিলে রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে প্রেরন করতে হবে ।