নিরাপদ চিকিৎসা, শ্বাসতন্ত্রের রোগ

ব্রংকিয়াল এজমার চিকিৎসা ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।

ব্রংকিয়াল এজমা

ব্রংকিয়াল এজমা (bronchial asthma) শ্বাসতন্ত্রের একটি রোগ। এর মূল কারণ অ্যালার্জি ও বংশগত প্রভাব। এর প্রধান লক্ষণ ধুলো, ধোয়া, বা অধিক পরিশ্রম ইত্যাদি কারনে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া এবং বুকের মাঝে সাঁই সাঁই শব্দ হওয়া। কারো এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে প্রাথমিক ভাবে স্বল্পমেয়াদী লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা প্রদান করে দ্রুত একজন এমবিবিএস চিকিৎসকের নিকট প্রেরণ করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নেয়া শুরু হলে দ্রুত খুব নিয়ন্ত্রনে চলে আসে।

ব্রংকিয়াল এজমার কারণঃ 

মূলত এলার্জিক রিয়াকশন (টাইপ-১ হাইপারসেনসিটিভিটি রিয়াকশন) এজমার কারণ। সাধারণত পারিবারিক ইতিহাস বিদ্যমান। কিছু প্রভাবক রয়েছে যারা রোগ্ৰাক্রমনে ভুমিকা রাখে।  যেমন

১. ঠান্ডা বায়ু প্রবাহ

২. ব্যয়াম।

৩. ধোয়া, ধুলা ইত্যাদি দ্বারা ব্রংকিয়াল ইরিটেশন

৪. খাদ্যে বিদ্যমান এলারজেন।

৫. রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশন।

৬. মানসিক আবেগ

৭. মহিলাদের মাসিক-এর সময়।

এজমার ক্লিনিক্যাল ফিচার বা লক্ষণঃ 

সিম্পটম/লক্ষণ। 

১. আকস্মিকভাবে শ্বাসকষ্ট।

২. ‘হুইজিং।

৩. বুকের মধ্যে চাপ বোধ।

৪. কাশি তৎসঙ্গে চটচটে আঠালো টাম কিংবা কোন শুটাম না থাকা।

৫. অস্থিরতা।

৬. রোগী ইতিপূর্বে এ ধরনের সমস্যার ইতিহাসের কথা বলতে পারে।

ব্রংকিয়াল এজমা-র সাইনঃ  

১. রেসপিরেটরি মাসল সমূহ স্পষ্ট।

২. সুপ্রাক্ল্যাভিকুলার ফোসা স্পষ্ট।

৩. বুকের দেয়ালের উঠানামা দুইপাশের হ্রাস পায়।

৪. ভেসিকুলার ব্রেদ সাউন্ড তৎসহ দীর্ঘ এক্সপিরেশন।

৫. রংকাই পাওয়া যায়।

ব্রংকিয়াল এজমা চিকিৎসাঃ 

সাধারণ ব্যবস্থাপনা।

১. আক্রমন অবস্থায় হলে তার ব্যবস্থাপনা।  যেমন, নেবুলাইজ করা, সায়ানোসিস থাকলে অক্সিজেন দেয়া।

২. আক্রমন প্রশমিত হলে রোগীকে রোগ সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান।

৩. যে সকল কারনে এজমার আক্রমন হয়, যেমন-ব্যায়াম, ঠান্ডা বাতাস, ধুমপান। সে সকল কারণকে এড়িয়ে চলা।

ঔষধজ চিকিৎসা।

১. ব্রংকো ডাইলেটর; যেমন-সালবিউটামল।

২. মাস্টসেল স্ট্যাবিলাইজার; যেমন- কেটোটিফেন ।

৩. লিউকোট্রাইন রিসেপ্টর এন্টাগোনিস্ট; যেমন- মনটেলুকাস্ট।

[videogallery id=”bronchial_asthma-alo”]

[videogallery id=”bronchial_asthma-harbal”]

ব্রংকিয়াল এজমা রোগীর করনীয়ঃ 

১। ধূমপান সহ  অন্যান্য তামাক জাতীয় দ্রব্য গ্রহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

২। ধুলাবালি থেকে নিজেকে দূরে যথা সম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

৩। মনে রাখতে হবে যে সমস্ত খাবারে অ্যাজমা বৃদ্ধি পায় সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। 

৪। নিয়মিত গরম কফি পান করলে শ্বাসনালী পরিষ্কার হয় । কিন্তু দিনে তিন কাপের বেশি ব্ল্যাক কফি খাওয়া উচিত না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। 

৫। রোগীর অবস্থা দেখে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অ্যাজমাটিক ড্রাগ ও সাথে ইনহেলার  দিতে পারেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *