এনাটমি ও ফিজিওলজি, নিরাপদ চিকিৎসা

বোন ৰা অস্থি 

বোন ৰা অস্থি

বোন (Bone ) বা অস্থি বা হাড় হলো একটি উচ্চ রক্ত সরবরাহ প্রাপ্ত, খনিজ সমৃদ্ধ, পরিবর্তনশীল দৃঢ় বিশেষ ধরনের কানেকটিভ টিস্যু বা যোজক কলা যা দেহের অবকাঠামো গঠণ করে।

 

অস্থির উপদান সমুহ

অস্থি (বোন) নিম্নলিখিত উপাদান সমন্বয়ে গঠিত

কোষ: অস্টিওসাইট, অস্টিওব্লাস্ট, অস্টিওক্লাস্ট।

আন্তঃকোষীয় উপাদান।

০ পানি

০ জৈব পদার্থ

কোলাজেন তন্তু ।

গ্লাইকোসামিনোগ্লাইকেল : যেমন- কড্রোটিন সালফেট, কিরাটান সালফেট

০ অজৈব পদার্থ যেমন- ক্যালসিয়াম সালফেট, ক্যালসিয়াম . কাবনেট, ম্যাগরেশিয়াম ফসফেট, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, আয়োডিন, লৌহ, ক্লোরিন ইত্যাদি।

 

বেনি বা অস্থি বা হাড়ের কাজ

১. দেহের আকার গঠণ করা।

২. রক্তের কোষ তৈরি করা।

৩. দেহের গুরুত্বপূর্ণ অংঙ্গ যেমন- মস্তিস্ক, হৃৎপিন্ত ,ফুসফুস ইত্যাদির যান্ত্রিক সুরক্ষা প্রদান।

৪. পেশি, টেনডন এবং লিগামেন্ট এর সংযুক্তির তল তৈরি করা।

৫. বিভিন্ন খনিজ পদার্থের মজ্বদ তৈরি করা।

 

বোন-এর শ্রেণীবিভাগ

বোন বা অস্থিকে বিভিন্ন ভাবে শ্রেণীবিভাগ করা যেতে পারে । নিম্নে আকার ও আকৃতি অনুসারে বোন-এর শ্রেণীবিভাগ করা হলো

লঙ বোন দীর্ঘ অস্থি (long bone )

০ সদৃশ- এদের দুইটি এপিফাইসিস আছে। যেমন – হিউমেরাস, রেডিয়াস, আলনা ।

০ মিনিয়েচার – এদের মাত্র একটি এপিফাইসিস আছে। যেমন – মেটাকারপাল, মেটাটারসাল, ও ফ্যালাঞ্জেস

০ রূপান্তরিত- এদের কোন মেডুলারি গহবর নেই। যেমন – ক্লাভিকল, ভার্টিব্রার দেহ।

 

সর্ট বোন (short bone) বা খাটো অস্থি। যেমন-কার্পাল ও টারসাল।

ফ্লাট বোন (flate bone) বা চ্যাপ্টা অস্থি। যেমন-স্ক্যাপুলা, স্টারনাম,রিব।

ইরেগুলার ( irregular) বা অনিয়মিত। যেমন- ভার্টিব্রা (কশেরুকা), হিপবোন।।

নিউমেটিক ( pneumatic bone) বা বায়ুপূর্ণ। যেমন-ম্যাক্সিলা , স্ফেনয়েড, এথময়েড।

সিসাময়েড (sesamoid) । যেমন-প্যাটেলা , পিসিফর্ম।

 

পেরিঅস্টিয়াম পেরিঅস্টিয়াম (Periosteum) হলো বিশেষ ধরনের তন্তুময় যোজক কলা যা লং বোন বা দীর্ঘ অস্থির বাইরের অংশ কে আবৃত করে রাখে ।

 

বোন মেরো বা অস্থি মজা

বোন মেরো ( Bone marrow) বা অস্থি মজ্জা হলো সফট কানেকটিভ টিস্যু ‘ (কোমল যোজক কলা) যা লঙ বোন-এর মেডুলারী ক্যাভিটিতে পাওয়া যায়।

 

বোন মেরো-র শ্রেণী বিভাগ

১. রেড বোন মেরো বা লাল অস্থিমজ্জা: ইহা রেটিকুলার কোষ ও সংশ্লিষ্ট তন্তু এবং রক্তকণিকা তৈরির উপাদান দ্বারা গঠিত।

২. ইয়েলো বোন মেরো বা হলুদ অস্থিমজ্জা: ইহা মুলত এডিপজ কোষ এবং ম্যাক্রোফেজ ও রেটিকুলার কোষের মিশ্রনে তৈরি।

 

বোন মেরো-র কাজ

১. রক্তের কোষ উৎপাদন।

২. বোন তৈরির কোষ উৎপাদন করা।

৩. লৌহ সঞ্চয় করা।

৪. প্রতিরোধ মুলক কাজ করা।

 

মানবদেহের বোন সমূহ

সংখ্যা | ধরন

| মোট অঞ্চল

সংখ্যা এক্সিয়াল বা মধ্যরেখা বরাবর

বা |

ক্রেনিয়াল করোটি

মাথা

চ্যাপ্টা/

অনিয়মিত বায়ুপূর্ণ। | চ্যাপ্টা/

অনিয়মিত বায়ুপূর্ণ

অনিয়মিত | অনিয়মিত

মুখমন্ডলের পেশী | ১৪

কর্ণ অস্থি হাইয়য়েড

নেক (গৃবা)

| ১

মোট অঞ্চল

অস্থি

সংখ্যা | ধরন সংখ্যা

সারভাইকেল(গবাদেশীয়) । ৭ অনিয়মিত

থোরাসিক (বক্ষদেশীয়) | ১২ অনিয়মিত ভার্টিব্রা বা

লাম্বার (কটিদেশীয়)

অনিয়মিত কশেরুকা।

স্যাক্রাল (বস্তিদেশীয়)

অনিয়মিত কক্সিজিয়াল।

অনিয়মিত (পুচ্ছদেশীয়)

স্টার্নাম

চ্যাপ্টা

বক্ষ

ট্র রিব (প্রকৃত রিব)

চ্যাপ্টা ফস রিব (অপ্রকৃত চ্যাপ্টা

রিব)। এপেডিকুলার বা উপাজিয়। সুপেরিয়র

ক্ল্যাভিকল এক্সট্রিমিটি

স্ক্যাপুলা।

| চ্যাপ্টা

 

(উর্ধাঙ্গ)

দীর্ঘ मौर्य

দীর্ঘ খাটো

দীর্ঘ।

হিউমেরাস রেডিয়াস। আলনা। কারপাল মেটাকারপাল ফ্যালাসে | হিপ বোন।

ফিমার টিবিয়া | ফিবুলা

প্যাটেলা টারসাল মেটাটারসাল ফ্যালাঞ্জেস,

همراه

اه اه اه اه اه اه

ইনফেরিয়র এক্সট্রিমিটি (নিমাঙ্গ)

मौर्ष অনিয়মিত नौद्ध দীর্ঘ | দীর্ঘ

বীজাকৃতি | খাটো

৬২

দীর্ঘ

১০ ২৮

| দীর্ঘ

মোট

২০৬

এছাড়াও কিছু সিসাময়েড অস্থি রয়েছে যেগুলো তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ। এরা হলো পিসিফরম (প্রতিটি কার্পাল অস্থির সাথে), দুটি প্রথম মেটাটারসালের সাথে, ফ্যাবেলা (গ্যাস্ট্রোকনেমিয়াস পেশীর মাথায়) এবং একটি কিউবয়েড অস্থির সাথে ।

 

কার্টিলেজ বা তরুনাস্থি

কার্টিলেজ (Cartilage ) হলো বিশেষ ধরনের রক্তনালীবিহীন কানেকটিভ টিস্যু। (যোজক কলা) যাতে কন্ট্রোসাইট নামক কোষ বিদ্যমান এবং দেহের রক্ষনাবেক্ষনমূলক কাজ সম্পাদন করে। কড্রো’ শব্দাংশ দ্বারা কার্টিলেজ বা তরুনারস্থি বোঝায়।

কার্টিলেজ কখনো কখনো একটি সুষমবন্টিত কানেক্টিভ টিস্যুর আবরন দ্বারা আবৃত থাকতে পারে। এই আবরনকে পেরিকন্ড্রিয়াম বলে।

 

কার্টিলেজ এর কাজ।

১. কোমল কলা সমুহকে রক্ষনাবেক্ষন করে।

২. অস্থির মসূন সন্ধিতল তৈরি করে।

৩. লঙ বোন বা দীর্ঘ অস্থি বিকাশে আবশ্যিক।

 

মানবদেহে যে সকল অঙ্গে কার্টিলেজ পাওয়া যায়

সকল সাইনোভিয়াল জয়েন্ট এর বোন সমূহের জয়েন্ট সারফেসে।

কার্টিলেজিনাস জয়েন্টসমূহে |

কান

নাক

ট্রাকিয়া ও ব্রংকাস

হোরাসিক কেজ-এ।

 

জয়েন্ট বা সন্ধি

জয়েন্ট (Joint) বা সন্ধি হলো অস্থি ও অস্থি বা অস্থি ও তরুনাস্থির মধ্যে গাঠনিক সংযোগ যেখানে তারা বন্ধন দ্বারা আবদ্ধ।

 

জয়েন্ট এর শ্রেণীবিভাগ

সাধারণভাবে জয়েন্ট-কে নিম্নভাবে শ্রেণীবিভাগ করা যেতে পারে

১. ফাইব্রাস : যখন সন্ধি সুসমবন্টিত তন্তু দ্বারা আবদ্ধ অবস্থায় থাকে তখন তাকে ফাইব্রাস জয়েন্ট বলে। এখানে কোনপ্রকার সঞ্চালন সম্ভব নয়। উদাহরণ-স্কাল বোন সমূহের মধ্যকার জয়েন্ট (সুচার), টিবিয়া ফিবুলার জয়েন্ট (সিন্ডেসমোসিস), দাঁত ও চোয়ালের মধ্যকার জয়েন্ট (গমফোসিস)।

২. কার্টিল্যাজিনাস : যে জয়েন্ট বা সন্ধিতে কার্টিলেজ বা তরুনাস্থি বন্ধনকারী বস্তু হিসেবে কাজ করে তাকে কার্টিলেজিনাস জয়েন্ট বা তরুনাস্থিময় সন্ধি বলে। এখানে যৎসামান্য নড়াচড়া সম্ভব। উদাহরণ-সিম্ফাইসিস পিউবিস জয়েন্ট, রিব ও কোস্টাল কার্টিলেজের মধ্যকার জয়েন্ট। |

৩. সাইনোভিয়াল : স্বাধীন ভাবে নড়াচড়া করতে পারে এমন সন্ধি যাদের  সন্ধিতল তরুনাস্থি দ্বারা আবৃত থাকে এবং অস্থি সমুহ লিগামেন্ট দ্বারা যুক্ত থাকে।

 

 

সাইনোভিয়াল জয়েন্ট

স্বাধীন ভাবে নড়াচড়া করতে পারে এবং যাদের সন্ধিতল তরুনাস্থি দ্বারা আবৃত থাকে। এবং অস্থি সমুহ লিগামেন্ট দ্বারা যুক্ত থাকে তাদের সাইনোভিয়াল (Synovial)। জয়েন্ট বলা হয়। মানবদেহের সঞ্চালনক্ষম জয়েন্ট সমূহের বেশিরভাগই সাইনোভিয়াল জয়েন্ট। সাইনোভিয়াল জয়েন্টকেও বিভিন্ন উপশ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। উদাহরণ- প্রক্সিমাল রেডিওআলনার জয়েন্ট (পিভট), হিউমেরোআলনার জয়েন্ট (হিঞ্জ), স্টারনোক্লাভিকুলার জয়েন্ট (স্যা), হিপ জয়েন্ট (বল ও সকেট)।

 

সাইনোভিয়াল ফুইড (তরল): ইহা একটি সচ্ছ বা হালকা হলুদাভ চটচটে তরল যা । সাইনোভিয়াল কোষ দ্বারা ক্ষরিত হয় এবং সাইনোভিয়াল ক্যাভিটি পূর্ণ করে রাখে । এটি প্রধান কাজ সন্ধিকে পিচ্ছিল করা। কিছু কিছু রোগাবস্থায় এটি অধিক পরিমানে। তৈরি হয়।

 

 

জয়েন্ট-এর স্থিরতা

একটি জয়েন্ট বা সন্ধি তার অবস্থানে স্থির থাকে বা জয়েন্ট-এর বোনগুলো একত্রিত থাকে। কারণ বিভিন্ন ধরনের লিগামেন্ট, টেনডন, মাসল ইত্যাদি একে দৃঢ়তা প্রদান। করে। যখন এই দৃঢ়তা প্রদানকারী বস্তুসমূহ দুর্বল হয়ে যায় বা আঘাত প্রাপ্ত হয় কিংবা সামর্থের অধিক চাপ প্রাপ্ত হয় তখন জয়েন্ট-এর বোন তার স্থান থেকে সরে যায়। ফলশ্রুতিতে জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে একটি জয়েন্টকে দৃঢ়তা প্রদানকারী টেন্ডন, লিগামেন্ট, মাসল আঘাতপ্রাপ্ত বা অধিক চাপ প্রাপ্ত হয় তখন জয়েন্ট-এর চারপাশে বা জয়েন্ট নড়াচড়ায় ব্যাথা অনুভূত হয়। এক্ষেত্রে জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতেও পারে আবার নাও পারে।

 

মানবদেহের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জয়েন্ট

ধরন। | স্কাল ও ভার্টিব্রাল কলাম (খুলি ও কশেরুকা স্তম্ভ)। টেমপেরো-মেন্ডিবুলার

| সাইনোভিয়াল ইন্টারভার্টিব্রাল (আন্ত কশেরুকা )- ভার্টিব্রাল বডি ( সেকন্ডারী কার্টিলেজিনাস কশেরুকা দেহ)

ভার্টিব্রাল আর্চ- | সাইনোভিয়াল কশেরুকা চুড়া স্যাক্রোকক্সিজিয়াল

সেকন্ডারী কার্টিলেজিনাস ইন্টারকক্সিজিয়াল (আন্তকক্সিজিয়াল)

সেকন্ডারী কার্টিলেজিনাস। এটলান্টো এক্সিয়াল- লেটারাল বা পার্শ্বিক

সাইনোভিয়াল এটলান্টো এক্সিয়াল- মিডিয়াল বা মাধ্যমিক

সাইনোভিয়াল এটলান্টো অক্সিপিটাল

সাইনোভিয়াল।

থোরাক্স (বক্ষ) কস্টোভার্টিব্রাল

সাইনোভিয়াল স্টানোকোস্টাল- প্রথম

প্রায়মারী কার্টিলেজিনাস। স্টাননাকোস্টাল- অন্যান্য

সাইনোভিয়াল ইন্টার কাল

সাইনোভিয়াল । মেনুব্রিওস্টার্নাল

সেকন্ডারী কার্টিলেজিনাস। | জিফিস্টার্নাল

সেকন্ডারী কার্টিলেজিনাস

আপার লিম্ব (উর্ধাঙ্গ) | সন্ধি

ধরন স্টার্নোক্লাভিকুলার

সাইনোভিয়াল এক্রোমিয়্যাভিকুলার

সাইনোভিয়াল সোলর জয়েন্ট বা স্কন্ধ সন্ধি(হিউমোরাল সন্ধি)

সাইনোভিয়াল এলবো জয়েন্ট বা কনুই সন্ধি (কিউবিটাল সন্ধি)

সাইনোভিয়াল প্রক্সিমাল রেডিও-আলনার (নিকটবর্তী রেডিও আলনার) সাইনোভিয়াল মধ্যবর্তী রেডিও-আলনার

সাইনোভিয়াল

 

ডিস্টাল রেডিও-আলনার (দুরবর্তী রেডিও-আলনার) | রিস্ট জয়েন্ট বা কজি সন্ধি (রেডিও-কার্পাল)

ইন্টার্কাপাল। কাপো-মেটাকাপাল মেটাকাপোফ্যালাঞ্জিয়াল। ইন্টার ফ্যালাঞ্জিয়াল (আন্ত ফ্যালাঞ্জিয়াল)।

লোয়ার লিম্ব (নিম্নাঙ্গ) স্যাক্রোইলিয়াক পিউবিক সিম্ফাইসিস

সাইনোভিয়াল সাইনোভিয়াল সাইনোভিয়াল। সাইনোভিয়াল সাইনোভিয়াল | সাইনোভিয়াল

হিপ জয়েন্ট (বা কটি সন্ধি ) | নি জয়েন্ট (বা হাঁটু সন্ধি)

সুপেরিয়র টিবিও-ফিবুলার (উর্ধ্ব টিবিওফিবুলার)। ইন্টারটিবিওফিবুলার (আন্ত টিবিও-ফিকুলার) এঙ্কেল (টেলো-রাল) (গোড়ালী সন্ধি) সাব টেলার টেলোক্যালকেনিওনেভিকুলার ক্যালকেনিওকিউবয়ডাল কিউনিওনেভিকুলার কিউবয়োনেভিকুলার

আন্ত কিউনিফর্ম টারসোমেটাটারসাল মেটাটারসোফ্যালাঞ্জিয়াল। ইন্টারফ্যাঞ্জিয়াল (আন্তফ্যালাঞ্জিয়াল)

সাইনোভিয়াল। সেকন্ডারী। কার্টিলেজিনাস। | সাইনোভিয়াল | সাইনোভিয়াল সাইনোভিয়াল সাইনোভিয়াল | সাইনোভিয়াল। সাইনোভিয়াল সাইনোভিয়াল সাইনোভিয়াল সাইনোভিয়াল সাইনোভিয়াল। সাইনোভিয়াল সাইনোভিয়াল সাইনোভিয়াল। সাইনোভিয়াল ।

 

জয়েন্ট-এর সঞ্চালন ( নড়াচড়া)

একটি জয়েন্ট-এ (মূলত সাইনোভিয়াল জয়েন্ট) বিভিন্ন ধরনের সঞ্চালন হতে পারে। তবে তা জয়েন্টের ধরন ও স্থান অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন হয়। জয়েন্ট বিদ্যমান বোন। সমূহের মাসল সমূহের ক্রিয়ার ফলেই একটি জয়েন্ট- এ সঞ্চালন সংঘটিত হয়। নিচে কয়েকটি সাধারণ সঞ্চালন দেয়া হলো

লেটারাল রোটেশন : দেহের মধ্য রেখা থেকে বাইরের দিকে।

মিডিয়াল রোটেশন : দেহের মধ্য রেখা থেকে ভেতরের দিকে ঘুরানো।

সুপাইনেশন : হাতকে ঘুরানো যেন তালু উপরের দিকে থাকে

প্রনেশন : হাতকে ঘুরানো যেন তালু নিচের দিকে থাকে।

ফ্লেক্সন : এমন নড়াচড়া যেখানে দুটি হাড়ের মধ্যবর্তী কোণ কমে যায়, যেমন কনুইকে ভাজ করলে হিউমেরাস ও আলনার মধ্যবর্তী কোণহ্রাস পায়।

এক্সটেনশন: এমন নড়াচড়া যেখানে দুটি হাড়ের মধ্যবর্তী কোণ বেড়ে যায়, যেমন হাঁটু সোজা করলে ফিমার ও টিবিয়ার মধ্যবর্তী কোণ বৃদ্ধি পায়।

ইভারশন: বাইরের দিকে ঘোরানো । যেমন পায়ের পাতা বাইরের দিকে ঘোরানো ইনভারশন: ভেতরের দিকে যে৷ বানো। যেমন পায়ের পাতা ভেতরের দিকে ঘোরানো। এডাকশন: অংগকে মধ্য অক্ষের দিকে নাড়ানো ।

এবডাকশন: অংগকে মধ্য অক্ষের বিপরিতে নাড়ানো।

সারকামডাকশন: আবর্তনমূলক বা চক্রাকারে নাড়ানো। এবডাকশন, একশন এক্সটেনশন ও ক্লেকশন এর চার মালায় মালোকশন

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *