মালতী গাছ
প্রচলিত নাম : গন্ধমালতী, মধুমালতী ও পালামালে
ইংরেজী নাম : Aganosma
বৈজ্ঞানিক নাম : Aganosma dichotoma (Roth.) K. Schum.
পরিবার : Apocynaceae
পরিচিতি : কাষ্ঠাল আরোহী গাছ। শাখা-প্রশাখা কোমল ও লোমযুক্ত। পাতা ডিম্বাকৃতি, ৮-১০ সে. মি. লম্বা এবং ৪-৫ সে. মি. চওড়া। বোটার দিক উপবৃত্তাকৃতি। পুষ্পদণ্ডের মাথায় ফুল হয়। ফুল ছড়ানো, সাদা হাল্কা সুগন্ধযুক্ত শক্ত, লোমাবৃত ও গুচ্ছে। থাকে, ফুলের ব্যাস ২.৫ সে. মি., পুষ্পস্তবক লম্বা, গোলাকৃতি এবং সাদা রঙের হয়। স্ত্রী পুষ্পদণ্ড নত, গর্ভকেশর কোমল লোমে আবৃত। ফল ছোট, অগ্রভাগ ক্রমশ সঙ্কুচিত। বীজ ডিম্বাকৃতি ও চ্যাপ্টা।
বিস্তার : বাংলাদেশের সর্বত্র।
ফুল ফোটার সময় : সেপ্টেম্বর-অক্টোবর।
বীজ সংগ্রহের সময় : ফেব্রুয়ারী-মার্চ।
ব্যবহার্য অংশ : শিকড়, ফুল ও পাতা।
ঔষধি ব্যবহার :
১) শিকড়ের রস পিত্তবিকার, দাঁত ব্যথা, মুখের ঘা, নিরাময়ে উত্তম।
২) ফুলের রসের প্রলেপ কুষ্ঠরোগ, উন্মাদরোগ ও কাজলের মতো চোখে লাগালে উপকার হয়।
৩) পাতার ক্বাথ রক্তগতবাত, রক্তপিত্ত, রক্তপ্রদর, যোনিবিকার, ব্রনশোষ রোগে ব্যবহার্য।
৪) অশ্বগন্ধা তেলে মালতী ফুল স্মৃতিশক্তিবর্ধক ও স্বপরিস্কারক হিসেবে ব্যবহার্য।