ডায়াবেটিস মেলিটাস এর লক্ষণ ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
ডায়বেটিস মেলিটাস
ডায়বেটিস মেলিটাস (diabetes mellitus) বা ডি.এম. হলো হলো ইনসুলিন নামক হরমোনের স্বল্পতা কিংবা টিস্যুতে ইনসুলিনের গ্রহনযোগ্যতা কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট একটি সিন্ড্রোম যার প্রধান বৈশিষ্ট্য শর্করা বিপাকীয় ক্ষমতা হ্রাস।
রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিকমান।
১. ফাস্টিং (অভুক্ত): ৬.১ মিলিমোল/লি এর নিচে
২. র্যানম (যে কোন সময়): ১১ মিলিমোল/লি এর নিচে।
ডায়বেটিস মেলাইটাস এর শ্রেণিবিভাগ
১. টাইপ-১ বা ইনসুলিন ডেপেনডেন্ট ডায়বেটিস মেলিটাস (আই.ডি.ডি.এম) বা ইনসুলিন নির্ভর ডায়বেটিস মেলিটাস।
২. টাইপ-২ বা নন ইনসুলিন ডেপেনডেন্ট ডায়বেটিস মেলিটাস | (এন.আই.ভি.ডি.এম) বা ইনসুলিন নির্ভর নয় এমন ডায়বেটিস মেলিটাস।
৩. জেস্টেশনাল ডায়বেটিস মেলাইটাস: গর্ভাবস্থায় সৃষ্ট ডায়বেটিস মেলাইটাস।
ডায়বেটিস মেলাইটাস এর লক্ষণ
১. লক্ষণবিহীন: লক্ষণবিহীন থাকতে পারে ( বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এনআইডিভিএম)।
২. ক্লিনিক্যাল ভাবে নিম্নলিখিত সাইন সিম্পটম প্রকাশ পেতে পারে
অতিরিক্ত পিপাসা
পলিইউরিয়া বা বার বার প্রস্রাব হওয়া
পলিডিপসিয়া বা ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা।
রাতে বার বার প্রস্রাব হওয়া
ক্লান্তি
ওজন হ্রাস পাওয়া
৩. জটিলতার লক্ষণ থাকতে পারে
ক্ষতস্থান দেরীতে শুকাননা
চোখে দেখতে সমস্যা
কিটোএসিডোসিস এর চিত্র
বিডি নেপ্যাথির চিত্র
নিউরোপ্যাথির চিত্র
ডায়বেটিস মেলিটাস এর জটিলতা
একিউট
১. ডায়বেটিক কিটোএসিডোসিস
২. হাইপোগ্লাইসেমিক কোমা।
৩. ল্যাকটিক এসিডোসিস।
ক্রনিক
১. ইনফেকশনের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া; যেমন- স্কিন বা ত্বক, ইউরিনারী ট্রাক্ট (মুত্রতন্ত্র) ইত্যাদি। ২. ডায়বেটিক নেফ্ৰপ্যাথি
৩. ডায়বেটিক নিউরোপ্যাথি
৪. ডায়বেটিক রেটিনোপ্যাথি
৫. ডায়বেটিক ফুট। ইত্যাদি।
ডায়বেটিস মেলিটাস এর চিকিৎসা
সাধারণ ব্যবস্থাপনা
১. ডায়বেটিস সম্পর্কে জানা
২. শৃঙ্খলা মেনে চলা
৩. খাদ্য সংক্রান্ত: ক্যালরী প্রয়োজন মত সুষম খাদ্য গ্রহণ যেখানে
কার্বহাইড্রেট (শর্করা বা চিনি জাতীয় খাবার) স্বল্প পরিমানে।
যথাযথ পরিমানে প্রোটিন।
কম পরিমানে চর্বি।
কম লবন
বেশি পরিমানে শাকসবজি ।
৪. নিয়মিত ব্যয়াম করা; যেমন সকালে ও বিকালে কমপক্ষে ৪০ মিনিট করে হাঁটা। – ৫. নিয়মিত ডায়বেটিস পরীক্ষা করা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।
ঔষধক
রোগীর সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে ইনজেকশনযোগ্য কিংবা ওরাল ইপোগ্লাইসেমিক ড্রাগ কিংবা উভয়ই একসাথে।