হেলেঞ্চা শাক বা হিঞ্চেশাক
হিঞ্চেশাক
প্রচলিত নাম : হিঞ্চেশাক
ইংরেজী নাম : Water Cress
বৈজ্ঞানিক নাম : Enhydra fluctuance Lour.
পরিবার : Compositae
পরিচিতি : হিঞ্চে শাক একটি জলজ উদ্ভিদ। পানিতে বা পানির কিনারায় বেয়ে বেড়ায়। প্রতিটি উঁটার গিরে যে দুইটি করে পাতা বিপরীতমুখী হয়ে বের হয় পুরানো লতার গিরে থেকেও শিকড় অথবা নতুন কুঁড়ি বের হয়। পর্ব বা উঁটাগুলি সাধারণতঃ ফাঁপা এবং লম্বা ৭-১১ সে.মি. পর্যন্ত হতে পারে। হালকা সবুজ পাতাগুলি লম্বা ৭-৯ সে.মি. এবং চওড়া ১-২ সে.মি. হয়।
বিস্তৃতি : হেলেঞ্চার চাষ করা হয় না। তবে তার পুরনো অংশ গিরেসহ (শিকড়সহ বা শিকড় ছাড়া) পানির কাছে লাগালে নতুনভাবে বংশ বিস্তার করে।
ঔষধি ব্যবহার : হেলেঞ্চার এক নাম হিলেমোচিকা। বৈদিক অভিধানে হিল অর্থ মোচন বা মুক্ত করে যে । হিলমোচকা দেহের মালিনতাকে দূর করে। অন্য কথায় সে জীবশোনিতের ঔজ্জ্বল্যনাশক দোষকে নষ্ট করে, তাই সে হিলমোচিকা।
১) অনেকের বর্ষা বা শরৎকালে হাত, পা এবং চোখও জ্বালা করে, এক্ষেত্রে হেলেঞ্চা শাকের ২ চামচ রসের সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেলে ঐ অসুবিধা দূর হবে।
২) মুখে অরুচি, জিবে একটা স্তর পড়ে গেছে, এক্ষেত্রে এর শাকের ২ চামচ রস গরম করে কয়েকদিন খেলেই উপকার হবে।
৩) অনেকের খোস-পাঁচড়া হয়, সারতে চায় না; এক্ষেত্রে হিঞ্চের রস ২ চামচ রস গরম করে সকালে-বিকালে দুইবার কয়েকদিন খেলে সেরে যায়।
৪) অনেকের নিজের শরীরটা নিজের মনে হয় না, নিজেকে ভারী মনে হয়। সেক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়মে রস খেলেও উপকার হয় ।
৫) শিশুদের অপরিপক্ক দাস্ত (ভসকা মল) এর সাথে উৎকট গন্ধ থাকলে হিঞ্চের রস ৩০ ফোটা গরম করে সকাল-বিকাল খাওয়ালে সেরে যাবে।
৬) অনেকের কোমরের নিচের অংশটা আড়ষ্ট ব্যথা এবং কোন কোন সময় রাতের দিকে পায়ের পেশী খিচে ধরে, অথচ বাত নয়, এটি বিকৃতি কফের ক্রিয়া। এক্ষেত্রে হিঞ্চের রস ২ চামচ একটু গরম করে সকালের দিকে খেতে হবে।
৭) গরমে ঘামাচি ও শীতকালে শীতকাটা হয়ে থাকলে হিঞ্চে শাক বেটে গায়ে মাখলে এ দুটি রোগ সেরে যায় ।
রাসায়নিক নাম : a) Diterpinoids viz, hydrozykauranoic acid, alphahydroxykauran b) Fatty alcohol, viz. myricyl alcohol, c) Sterol viz, Stigmasterol