চক্ষু রোগ, নিরাপদ চিকিৎসা

চক্ষু রোগের লক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।

চক্ষু রোগের লক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা

স্বল্প আলোতে কাজ করলে চোখে ব্যথা অনুভূত হওয়া এবং ছোট ছোট বাচ্চাদের অথবা জন্মের পর কিছু লক্ষণ যেমনঃ

১। চোখের কর্নিয়া ক্রমাগত বড় হয়ে যাওয়া ।

২। চোখের কর্নিয়া সাদা হয়ে যাওয়া ।

৩। চোখ লাল হওয়া।

৪। চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি।

চক্ষু রোগ বলতে চক্ষু, অগ্রন্থি, নেত্রনালী ও চোখের পাতার রোগ বোঝায়। চক্ষু রোগের লক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদটি পড়ুন।

চোখের রোগে সাধারণ কারণ 

১। জীবানু: ব্যকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস ইত্যাদি।

২। আঘাত।

৩। রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ।

৪। চোখে গাছন্ত/কবিরাজী ঔষধ প্রয়োগ।

৫। অপুষ্টি (ভিটামিনের অভাব)।

৬। উচ্চ রক্তচাপ।

৭। ডায়বেটিস মেলাইটাস।

৮। এলার্জি।

চোখের রোগ প্রতিরোধে করণীয় 

১। চোখে এলোপ্যাথিক ঔষধ ব্যতিত অন্য কোন ড্রপ ব্যবহার না করা।

২। চোখে কোন গাছন্ত ঔষধ প্রয়োগ না করা।

৩। হাতে চোখ না ডলা।

৪। চোখের দৃষ্টিতে কোন সমস্যা হলেই চোখের ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।

৫। বছরে কমপক্ষে একবার চোখ পরীক্ষা করা । চশমা ব্যবহার করলে অবশ্যই করতে হবে।

৬। ডায়বেটিস থাকলে নিয়ন্ত্রণ করা। অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস থাকলে ছয়মাস পর পর চক্ষু পরীক্ষা করা । উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়ন্ত্রন করা। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ থাকলে ছয়মাস পর পর চক্ষু পরীক্ষা করা।

৭। শিশুর স্কুলে যাওয়ার পূর্বে অথবা স্কুলে যাওয়ার এক বছরের মধ্যে তার চোখ পরীক্ষা করা।

চোখের রোগের লক্ষণ সমূহ (সাধারণ লক্ষণ)

১। চোখ লাল হওয়া।

২। চোখ ব্যথা করা ।

৩। চোখে কম দেখা ।

৪। চোখ দিয়ে অতিরিক্ত পানি পড়া।

৫। ট্যারা দৃষ্টি ।

৬। চোখের ভেতর কোন দাগ থাকা ।

৭। চোখের ভেতর পর্দার উপস্থিতি। ইত্যাদি

চোখ একটি স্পর্শকাতর অঙ্গ। চিকিৎসকের সামান্য ভুলের জন্য রোগীর মারাত্নক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই চক্ষুরোগের ক্ষেত্রে পিএইচসি চিকিৎসকের চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতালে বা চক্ষু চিকিৎসকের নিকট প্রেরণ করাই উত্তম।

অনলাইনে আমাদের অবিজ্ঞ দাক্তারদের থেকে পরামর্শ নিতে এখানে ক্লিক করুন  এপয়েন্টমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *