নিরাপদ চিকিৎসা, রক্ত ও হৃদরোগ

স্ট্রোক এর লক্ষণ ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।

স্ট্রোক 

ব্রেইন -এর রক্তনালী ছিড়ে যাওয়া কিংবা প্রতিবন্ধকতার ফলে সৃষ্ট আকস্মিক নিউরোলজিক্যাল ফাংকশন ( দেহের স্নায়বিক ক্রিয়া) বন্ধ হয়ে যাওয়া বা হ্রাস। পাওয়াকে স্ট্রোক বলা হয়। একে এপোপ্লেক্সি ও সেরেব্রোভাসকুলার এক্সিডেন্ট নামেও অভিহিত করা হয়। স্ট্রোক দুইভাবে হতে পারে, ব্রেইন এর রক্তনালী ছিড়ে রক্তক্ষরণ হয়ে কিংবা ব্রেইন এর রক্তনালীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে।

 

উচ্চরক্তচাপই স্ট্রোকের প্রধান কারণ। তবে কিছু কিছু হার্টের রোগ, রক্তনালীর রোগ, রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি হলেও স্ট্রোক হতে পারে।

 

স্ট্রোক এর উল্লেখযোগ্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে- ক) আকস্মিক অচেতনতা কিংবা অচেতনতা পূর্ব অবস্থা খ) খ) অচেতনতা পূর্ব লক্ষণ -ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়া, মৃদু থেকে মধ্যম মানের মাথাব্যথা, মাথা ঘুরানো, নসিয়া ও ভমিটিং, আকস্মিকভাবে মুখমন্ডল, বাহু কিংবা পায়ের দূর্বলতা বা অবশতা অনুভব, আকস্মিকভাবে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, আকস্মিকভাবে কথা বলতে সমস্যা হওয়া কিংবা কথা বুঝতে না পারা, তন্দ্রাভাব, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। গ) অচেতনতা পরবর্তী লক্ষণ- চেতনা না ফেরা, প্যারালাইসিস ইত্যাদি।

 

স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা যাওয়া মাত্রই রোগীকে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *