এনাটমি ও ফিজিওলজি

কিডনী 

কিডনী

কিডনী (Kidney) হলো এবডোমিনাল ক্যাভিটিতে (উদর গহবর) অবস্থিত একজোড়া এক্সক্রিটরি (যা বর্জ্য পদার্থ নিস্কাশন করে) অরগান (অঙ্গ)। প্রিফিক্স/সাফিক্স রেন ও নেফ্র দ্বারা কিডনীকে বোঝায়।

 

অবস্থান

প্রতিটি কিডনী পেরিটোনিয়ামের পেছনে পোস্টেরিয়র এবডোমিনাল ওয়ালের সাথে অবস্থান করে। ডান কিডনী লিভারের কারনে কিছুটা নিম্নদিকে অবস্থান করে। কিডনী সাব-ডায়াফ্রামাটিক (ডায়াফ্রামের সাথে সংলগ্ন) অঙ্গ তাই শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে সাথে

এটি ১.৫-২.৫ সেমি উঠা নামা করে।

 

উলম্বভাবে কিডনী থােরাসিক-১২ থেকে লাম্বার ৩ নং পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি হাইপোকন্ড্রিয়াক, এপিগ্যাস্ট্রিক, লাম্বার ও আম্বিলিক্যিাল রিজিওনে অবস্থান করে।

 

 

নেফ্রন।

কিডনীর কার্যকরী ও গঠনগত একক হলো নেফ্রন। নেফ্রন একটি নলাকার অঙ্গ। একটি কিডনীতে প্রায় ১.২ মিলিয়ন নেফ্রন থাকে।

 

গ্লোমেরুলার ফিষ্ট্রেশন বা গ্লোমেরুলাস পিরশ্রাবন

কিডনীর নেফ্রনের গ্লোমেরুলাসের ক্যাপিলারীর মধ্যে দিয়ে যে পরিশ্রাবন হয় তাকে গ্লোমেরুলার ফিল্মেশন (glomerular filtration) বা গ্লোমেরুলাস পরিশ্রাবন বলে।

 

প্রতি মিনিটে যে পরিমান গ্লোমেরুলার ফিটে তৈরি হয় তাকে গ্লোমেরুলার ফিস্ট্রেশন রেট ( জি এফ আর)বলে। স্বাভাবিক মান- ১২৫ মিলি/ মিনিট।

 

 

মূত্র

পানি ও বর্জ্য পদার্থ দ্বারা তৈরি একটি তরল পদার্থ যা কিডনী কর্তৃক তৈরি হয়। কিডনীর নেফ্রন রক্ত হতে তরল অংশ ( বিভিন্ন উপাদান এতে বিদ্যমান ) হেঁকে নেয়। একই তরল অংশ পরবর্তীতে নলাকার নেফ্রনের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হওয়ার সময় বেশিরভাগ তরল অংশ পুনরায় শােষিত হয়। পরিশেষে কিছু পানি ও বর্জ্য পদার্থ (যেমন- ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন ইত্যাদি) একত্রিত হয়ে মূত্র গঠন করে।

 

মিকচুরেশন (micturition) বা মূত্র ত্যাগ

যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুত্র দেহের বাইরে নিস্কাশিত হয়। একে ইউরিনেশনও বলা হয়। ইউরিনারী ব্লাডারে মূত্র জমা হলে মিকচুরেশন রিফ্লেক্স তৈরি হয়। ফলে পেরিনিয়াল মাসলের শিথিলতা এবং এবডোমিনাল মাসলের সংকোচন ঘটে এবং অবশেষে ইউরেথ্রার স্ফিংকটারের শিথিলতা ঘটে এবং মূত্র ইউরিনারী ব্লাডার হতে বের হয়ে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *