মৃগী রোগের লক্ষণ ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
এপিলেপ্সি বা মৃগী
এপিলেন্সি হলো একটি এমন স্নায়ু রোগ যেখানে রোগীর খিচুনী থাকে। এ ক্ষেত্রে ব্রেইনের সুনির্দিষ্ট ধরনের অস্বাভাবিক ক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়।
জন্মের সময় শিশুর শ্বাসরোধ, জন্মের সময় মাথায় আঘাত, নবজাতক অবস্থায় সেপসিস, শিশুদের উচ্চমাত্রার জ্বর, মাথায় আঘাত, ব্রেইন এর ইনফেকশন, মেটাবলিক সমস্যা, স্ট্রোক ইত্যাদি কারণে মৃগী হতে পারে।
এপিলেন্সির প্রধান লক্ষণ খিচুনি। খিচুনির পূর্বে রোগী উত্তেজনাপ্রবণ হতে পারে কিংবা তার অস্বস্তিবোধ হতে পারে। খিচুনির সময় হাত পায়ের অস্বাভাবিক সংকোচন হয়। রোগী অচেতন থাকে। খিচুনির সময় পর রোগী কিছুক্ষন অচেতন থাকে। চেতনা ফিরে পাওয়ার পর শরীর দুর্বল লাগা, মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যা অনুভব হতে পারে। কিছু কিছু শিশুদের ক্ষেত্রে কয়েক সেকেন্ডের জন্য অচেতনতা হয় তবে কোন খিচুনি নাও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশু চোখ উল্টিয়ে দেয় এবং কথায় সাড়া দেয় না কিংবা হঠাৎ করেই পড়ে যায় আবার উঠে যায়। তবে এ ব্যপারে রোগী কিছু বলতে পারে না।
এপিলেপ্সির চিকিৎসা
সাধারণ ব্যবস্থাপনা।
১. খিচুনী অবস্থার খিচুনীর ব্যবস্থাপনা ।
২. রোগী ও তার আত্নীয়দের ব্যপারটা বোঝানো।
৩. উত্তমরূপে নিয়ন্ত্রনে না আসা পর্যন্ত ঝুঁকি পূর্ণ কাজ, যন্ত্রপাতি ও আগুনের নিকট থেকে দুরে থাকতে হবে কিংবা সার্বক্ষণিক সঙ্গী নিয়ে সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে ।
৪. খিচুনীবিহীন অবস্থা এক বছর না হওয়া পর্যন্ত সাতার কাটা, সাইকেল চালানো, মোটর গাড়ী চালানো নিষেধ।
ঔষধজ চিকিৎসা
ক) সঠিক কারণ নির্ণয় ও রোগের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে এন্টিএপিলেপটিক ড্রাগ নির্বাচন করতে হবে বিধায় রোগীকে একজন স্নায়ুরোগ/ মেডিসিন বিশেষজ্ঞের নিকট প্রেরণ করতে হবে।