দারুহরিদ্রা গাছ
প্রচলিত নাম : দারুহরিদ্রা
ইংরেজী নাম : Daruharidra
বৈজ্ঞানিক নাম : Berberis asiatica Roxb.
পরিবার : Berberideae
পরিচিতি : ইহা এক প্রকার হরিদ্রা বর্ণ বিশিষ্ট বৃক্ষজ বনৌষধি। দারুহরিদ্রা কন্টকময়, ২-৩ মি. উঁচু চিরসবুজ পত্রাচ্ছাদিত। ছাল নরম, পীত ও ফিকে ধূসরবর্ণ। উপরিভাগ কর্কের মতো। পত্র ২-৭ সে. মি., অগ্রভাগ সরু। ফুল ছোট, বোঁটায় সন্নিবদ্ধ। ফল বড়, লাল অথবা কৃষ্ণবর্ণ। ফুল বসন্তকালে ও ফল গ্রীষ্মকালে হয়।
বিস্তৃতি : কাশ্মীর, পাঞ্জাব, ভুটান ,আসাম, বিহার, দক্ষিণ ভারত ও বাংলাদেশে অল্পবিস্তর দারুহরিদ্রা গাছ জন্মে। ইউরোপে অনেকে বাগানে বেড়া দেবার জন্য এ গাছ লাগানো হয়।
ব্যবহার্য অংশ : ডাঁটা, শিকড়ের ছাল ও ফল।
রাসায়নিক উপাদান : দারুহরিদ্রার ভেষজ গুণ তার মধ্যেকার উপক্ষার “বৰ্বোরিন” নাম উল্লেখযোগ্য।
বাজার চাহিদা : এ বনৌষধটির সঙ্গে মানুষের পরিচয় অতি প্রাচীনকালের। প্রাচীন ভারতের খ্যাতনামা আয়ুর্বেদ বিশারদরা দারুহরিদ্রার ভেষজ গুণের উল্লেখ করেছেন। বিংশ শতাব্দীতেও খ্যাতনামা চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা দারুহরিদ্রা এবং তার থেকে পাওয়া একটি ওষুধ (রসাঞ্জন)-এর ভেষজ গুণ সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ হয়েছেন।
ঔষধী ব্যবহার :
১) দারুহরিদ্রা থেকে রসাঞ্জন নামে একটি প্রচীন ওষুধ তৈরী হয়। চক্ষুরোগে ইহা অদ্বিতীয় ওষুধ। চর্মরোগেরও ইহা ফলপ্রসূ।
২) পান্ডুরোগে ও যকৃতের দোষে চোখ হলদে হলে দারুহরিদ্রার কৃাথ খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।
৩) দারুহরিদ্রা বাত, কফ, পিত্ত, ব্রন, কৃমি ও কুষ্ঠরোগে বিশেষ ফলপ্রদ।
৪) চোখ ফোলা বা চোখের ক্ষতের ক্ষেত্রে বর্বোরিন ক্লোরাইড খুবই কার্যকরী। বার্বেরিন উপক্ষারের দ্রবণ “ওরিসল” বাণিজ্যিক নামে বাজারে আজও বিক্রী হয়।
৫) ঔষধ ছাড়া রং হিসাবেও দারুহরিদ্রার ব্যবহার আছে। প্রাচীনকালে আমাদের দেশে চামড়া ট্যান করতে নাকি দারুহরিদ্রা জাত হলুদ রং ব্যবহার করা হতো।
৬) এছাড়া, উষ্ণবীর্য, ব্রন ও মেহনাশক হিসেবে ব্যবহার্য