গাছপালা

লতাকস্তুরী গাছ

প্রচলিত নাম : লতাকস্তুরী

ইংরেজী নাম : Ambretle plant

বৈজ্ঞানিক নাম : Psoralea comilififolia Linn.

পরিবার : Malvaceae

পরিচিতি : লতাকস্তুরী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। ইহা এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। এর কাণ্ড শক্ত। পাতা রোয়াযুক্ত, ডগা সরু ও কিনারা কাকরা কাটা। পাতার দুই পিঠই রোমশ। ফলের রঙ উজ্জ্বল হলুদ, মাঝে বেগুনী। ফল লম্বায় ছয় সেন্টিমিটার, ডগা সূঁচালো ও রোমযুক্ত। ফলের মধ্যে কালো রঙের বীজ হয়।

বিস্তৃতি : পশ্চিম ভারতের উপকূল, উত্তর নেপাল ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এর আদি নিবাস।

ফুল, ফলপ্রাপ্তির সময় : বর্ষাকাল-শীতকাল।

ব্যবহার্য অংশ : পাতা, মূল ও ফল ভেষজ গুণসম্পন্ন।

চাষাবাদ : বর্ষজীবী উদ্ভিদটি দোআঁশ মাটিতেই ভাল জন্মে। এর আঁশ খুব মূল্যবান। ভালভাবে চাষ করলে বিঘা প্রতি আট-দশ কিলোগ্রাম আন্দাজ আঁশ পাওয়া যায়।

ঔষধি ব্যবহার :

১) বীজের গুঁড়া ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করে সর্পদংশনের চিকিৎসা করা হয়।

২) লতাকস্তুরীর বীজ পাকস্থলীর রোগে, লিওকোর্ডোমা ও অন্যান্য চর্মরোগে, কুষ্ঠরোগে, বিছা ও সাপের কামড়ে ফলপ্রদ।

৩) বীজ তিক্ত মধুর রসযুক্ত, শুক্রবর্ধক, শীতবীর্য, শ্লেষ্ম ও পিপাসানাশক।

৪) শারীরিক দুর্বলতায় ও হৃদরোগে লতাকস্তুরীর চুর্ণ দুই রতি মাত্রা মধু অথবা মিছরির জলসহ পান করতে হয়।

৫) পেট ফাঁপায় এক রতি মাত্রা মধু অথবা মিছরির জলসহ রোগীকে খাওয়াতে হবে।

অন্যান্য ব্যবহার : লতাকস্তুরীর বীজের তেলের নাম Ambretle. seed oil. আতর শিল্পে এই তেলের ব্যবহার খুব বেশী। লতাকস্তুরীর ফুল চুরুটের তামাকের সঙ্গে মিশিয়ে চুরুটকে সুগন্ধি করা হয়। আবার এই উদ্ভিদের কচি পাতাসহ গাছের ডগা সবজির মত রান্না করে খাওয়া হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *