এনাটমি ও ফিজিওলজি

স্যালাইভারী গ্ল্যান্ড বা লালা গ্রন্থি 

স্যালাইভারী গ্ল্যান্ড বা লালা গ্রন্থি

স্যালাইভারী গ্ল্যান্ড (salivary Gland) হলো সেই গ্রন্থি যা স্যালাইভা (লালা) নামক ডায়জেস্টিভ জ্বস (পরিপাক রস) নিঃসরণ করে। এরা এক্সোক্রাইন গ্ল্যান্ড (বহিক্ষরা গ্রন্থি)।

 

শ্রেনীবিভাগ

মানবদেহে তিনজোড়া স্যালাইভারি গ্ল্যান্ড (লালা গ্রন্থি) রয়েছে

১. প্যারোটিড -নিঃসৃত লালার ২৫% এই গ্রন্থি কর্তৃক নিঃসৃত হয়। এই গ্রন্থির নিঃসরনে এনজাইম বিদ্যমান।

২. সাবম্যান্ডিবুলার – নিঃসৃত লালার ৭০% এই গ্রন্থি কর্তৃক নিঃসৃত হয়।

৩. সাব লিঙ্গুয়াল – নিঃসৃত লালার ৫% এই গ্রন্থি কর্তৃক নিঃসৃত হয়।

 

স্যালাইভা বা লালা

স্যালাইভা (saliva) হলো চটচটে, বর্ণহীন স্বচ্ছ তরল যা তিন জোড়া স্যালাইভারী গ্ল্যান্ড হতে নিঃসৃত হয়। স্যালাইভা সামান্য এসিডিক। নিঃসরনের পৃরিমান ৮০০-১৫০০ মিলি প্রতিদিন গড়ে – ১০০০মিলি)

 

স্যালাইভার গাঠনিক উপাদান

এর বেশির ভাগ অংশই পানি। এতে সামান্য পরিমান কিছু জৈব পদার্থ রয়েছে যেমন -কিছু এনজাইম, মিউসিন, এমাইনো এসিড, রক্তের গ্রুপ নির্ধারনি এন্টিজেন ইত্যাদি। অজৈব পদার্থের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ক্লোরাইড, ফসফেট ও কার্বনেট।

 

স্যালাইভার কাজ

১. মুখকে আর্দ্র রাখে এবং কথা বলতে সাহায্য করে।

২. গলাধকরনকে সহজতর করে।

৩. খাদ্য দ্রব্যকে মন্ডে পরিণত করে ফলে সহযে হজম হয়।

৪. গরম ও জ্বালাকর খাদ্যকে লঘু করে ফলে মিউকাস মেমব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

৫. পিচ্ছিলকারক হিসেবে কাজ করে।

৬. স্বাদ গ্রহনে সাহায্য করে।

৭. পরিপাক ক্রিয়া- টায়ালিন সিদ্ধ শর্করাকে ম্যালটোজে রূপান্তর করে।।

৮. দেহের পানি সমতা রক্ষায় সাহায্য করে।

৯. বাইকার্বনেট ও ফসফেট থাকায় লালা বাফার হিসেবে কাজ করে।

১০. ব্যকটেরিয়া রোধী ক্রিয়া- লালায় বিদ্যমান এনজাইম ব্যকটেরিয়ার কোস পর্দাকে দ্রবিভুত করে ফেলে এবং অবশেষে মেরে ফেলে।

 

লালা নিঃসরন নিয়ন্ত্রন

লালা নিঃসরন স্নায়ু তন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। মানুষের ক্ষেত্রে মুখ গহ্বরে খাদ্যের উপস্থিতি , দর্শন, ঘান এমনকি কল্পনাও লালা নিঃসরন ঘটায়।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *