ডবু বি সি বা লিউকোসাইট বা শ্বেত রক্ত কণিকা
লিউকোসাইট (leucocyte) বা ডব্লু বি সি (WBC) বা হোয়াইট ব্লাড সেল হলো গোলাকার বর্ণহীন রক্ত কোষ যা দেহের প্রতিরোধ্যতা সৃষ্টি করে।
শ্রেণীবিভাগ
১) এ্যানুলোসাইট বা দানাদার : এগুলো তিন ধরনের নিউট্রোফিল, ইসিনোফিল ও বেসোফিল ।
২) এএ্যানুলোসাইট বা অদানাদার – এদের সাইটোপ্লাজমে কোন দানাদান পদার্থ থাকে না । এরা দুই ধরনের লিম্ফোসাইট ও মনোসাইট
লিউকোসাইটের কাজ।
১. ফ্যাগোসাইটোসিস – এই পদ্ধতিতে শ্বেত রক্ত কণিকা ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য বস্তুকে গলাধকরন করে।।
২. এন্টিবডি তৈরি – লিম্ফোসাইট এন্টিবডি তৈরি করে।
৩. হেপারিন নিঃসরন – বেসসাফিল হেপারিন তৈরি কওে যা রক্তনালীর মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধতে বাঁধা দেয়।
৪. ফাইব্রোব্লাস্ট তৈরি – লিম্ফোসাইট ফাইব্রোব্লাস্ট -এ রূপান্তর হতে পাওে যা ক্ষত মেরামতে সাহায্য করে।
৫. এন্টি হিস্টামিন তৈরি – ইসিনোফিল এন্টিহিস্টামিন ৫ এইচ টি তৈরি করে।
৬. বর্জ্য নিস্কাশন – মৃত কোষ এবং এর অংশ বিশেষ দুর করার মাধ্যমে বর্জ্য | নিস্কাশনে ভূমিকা রাখে।
লিউকোসাইটোসিস (leucocytosis)
শ্বেতরক্তকনিকার পরিমান স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে তাকে লিউকোসাইটোসিস। বলে। প্রধান কারণ : ইনফেকশন, লিউকেমিয়া , ক্যান্সার ইত্যাদি
লিউকোপেনিয়া (Leucopenia)
শ্বেতরক্তকনিকার পরিমান স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে তাকে লিউকোপেনিয়া বলে । প্রধান কারণ।
১. ইনফেকশন: ব্যকটেরিয়া ( যেমন-টায়ফয়েড), ভারনাল (যেমন হেপাটাইটিস), প্রোপ্রোটোজোয়া (যেমন-কালাজ্বর) ইত্যাদি।
২. রাসায়নিক পদার্থ জনিত
৩. এপ্লাস্টিক এনিমিয়া
৪. হাইপার স্পিনিজম
দেহের বিভিন্ন রোগাক্রান্ত অবস্থায় ডব্লু বি সি এর সংখ্যা সর্বমোট বা নির্দিষ্ট ধরনের ডব্লু বি সি- এর সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি পেতে পারে। যেমন- শুধু নিউট্রোফিলের সংখ্যা। বৃদ্ধি পেতে পারে।
সহজ অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা-৩১