Home » Shop » আমঃ বারি আম-১১ / Bari Mango-11 বারোমাসি আম

আমঃ বারি আম-১১ / Bari Mango-11 বারোমাসি আম

Original price was: 300.00৳ .Current price is: 200.00৳ .

বৈশিষ্ট্য : বারোমাসি আম,  বছরে তিন বার ফল সংগ্রহ করা যায়। পাকা ফল হলুদ রঙের, অবলং আকৃতির এবং গড় ওজন ৩১৭ গ্রাম। ফলের শাঁস আঁশহীন, গাঢ় হলদে, খেতে সুস্বাদু, ও মিষ্টি (ব্রিক্সমান ১৯%), মধ্যম রসালো, খাদ্যোপযোগী অংশ ৭০%। পাঁচ বছর বয়স্ক গাছ প্রতি গড় ফলের সংখ্যা ২৩ টি এবং গড় ফলন ২.২ টন/হেক্টর

SKU: 248b11e2b1f9 Category: Tag:
Description

ফসলের নাম    : আম
nজাতের নাম     : বারি আম১১
n
nবৈশিষ্ট্য : প্রতি বছর ফলদানকারী একটি রঙিন, উচ্চ ফলনশীল জাত যা থেকে বছরে তিন বার; মে থেকে জুলাই এর পরিবর্তে ফেব্রুয়ারী থেকে আগষ্ট পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা যায়। পাকা ফল হলুদ রঙের, অবলং আকৃতির এবং গড় ওজন ৩১৭ গ্রাম। ফলের শাঁস আঁশহীন, গাঢ় হলদে, খেতে সুস্বাদু, ও মিষ্টি (ব্রিক্সমান ১৯%), মধ্যম রসালো, খাদ্যোপযোগী অংশ ৭০%। পাঁচ বছর বয়স্ক গাছ প্রতি গড় ফলের সংখ্যা ২৩ টি এবং গড় ফলন ২.২ টন/হেক্টর
nউপযোগী এলাকা  : সমগ্র বাংলাদেশেই এর চাষ করা যায়।
nবপনের সময়  : জ্যৈষ্ঠ -আষাঢ মাস গাছ রোপণের উপযুক্ত সময়। ভাদ্র-আশ্বিন মাসেও গাছ লাগানো যায় তবে অতিরিক্ত বর্ষায় গাছ না লাগানোই ভাল।
nমাড়াইয়ের সময়:  বারি আম-১১: ব্যতিক্রমী জাত যা থেকে বছরে তিন বার; মে থেকে জুলাই এর পরিবর্তে ফেব্রুয়ারী থেকে আগষ্ট পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা যায়
n
n রোগবালাই দমন ব্যবস্থা
n
n রোগবালাই
nএ্যানথ্রাকনোজ : ছত্রাকজনিত এই রোগের বিস্তৃতি প্রধানত আর্দ্র ও বৃষ্টিবাহুল এলাকাতে পরিলক্ষিত হয়। পাতা, কচি কান্ড, মুকুল ও ফল সব ক্ষেত্রেই এই রোগ দেখা যায়। আক্রান্ত অংশ প্রথমে ধূসর বাদামী এবং পরে কালচে রং ধারণ করে। আক্রান্ত কচি ডাল আগা থেকে ক্রমান্বয়ে শুকিয়ে মরে যায়। মুকুল ঝরে পড়ে, কচি ফল ঝরে পড়ে এবং পরিপক্ক ফল পচে যায়।
nপাউডারী মিলডিউঃ এ রোগের আক্রমণে আমের পাতা, পুষ্প মঞ্জুরী ও শাখা-প্রশাখার উপর সাদা গুঁড়ার মত ছত্রাকের স্পোর বা বীজকনা দেখা যায়। এর ফলে ফুল ও গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ে। পুষ্প মঞ্জুরীর বৃদ্ধি ও গুটি বাঁধার সময় মেঘলা দিন ও উচ্চ আর্দ্রতার সাথে যদি রাতে নিম্ন তাপমাত্রা থাকে তবে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়।
nশুটি মোল্ডঃSooty mould নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়। আমের শোষক পোকা যেমন- হপার ও মিলিবাগ গাছের পাতা, মুকুল, কচি ডালে যেখানে মধুরস নিঃসরণ করে সেখানে এই ছত্রাক কাল আবরণ তৈরির মাধ্যমে বিস্তার ঘটায়। আক্রান্ত পাতায় সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
nআগা-মরা /ডাইব্যাকঃ এ রোগের আক্রমণে গাছের কচি ডাল আগা থেকে শুকিয়ে মরে যেতে থাকে, গাছের আম ঝরে পড়ে।
nআমের বোঁটা পচা রোগঃ সাধারণত পরিপক্ক আমের ক্ষেত্রে এই রোগ হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বোঁটার দিক থেকে পচন শুরু হয়। Lasiodiplodia natalensis নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে।
nশারীরবৃত্তীয় সমস্যা
nব্লাক টিপঃ এ ক্ষেত্রে সাধারণত প্রথমে আমের নীচের দিকে ছোট একটা জায়গা বিবর্ণ হয়ে যায়, আস্তে আস্তে তা সম্পূর্ণ আগায় ছড়াতে থাকে এবং কালচে হয়ে যায়। আম বাগানের নিকটবর্তী (১ কি.মি. এর মধ্যে) স্থানে ইটের ভাটা থাকলে চিমনীর নির্গত (কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড, এসিটাইল) ধোঁয়ায় এ লক্ষণ সৃষ্টি হয়।
nপাতা পোড়াঃসাধারণত পটাশিয়ামের অভাবে পাতা পোড়া লক্ষণ দেখা য়ায়। এ ক্ষেত্রে বয়স্ক পাতার আগা এবং কিনারা পুড়ে যায়। লবনাক্ত মাটিতে বা যে মাটিতে সামান্য লোনা পানি বা পটাশিয়ামের উৎস হিসাবে মিউরিয়েট অব পটাশ ব্যবহার করা হয় সে মাটিতে সাধারণত পটাশিয়ামের অভাব দেখা যায়।
nস্পঞ্জি টিস্যুঃএ ক্ষেত্রে আম পাকার সময় আমের শাঁসের মধ্যে হলদে, অম্লস্বাদযুক্ত স্পঞ্জ এর মত (বায়ুকুঠুরীসহ অথবা ছাড়া) টিস্যু তৈরি হয় যা খাওয়ার অযোগ্য। ফলের বৃদ্ধি বা পাকার সময় বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও পাকা ফল কাটলে দেখা যায়। পুষ্টিগত অসামঞ্জস্যতা, অতিরিক্ত পাকিয়ে ফল সংগ্রহ করা, আম পাড়ার পর রোদে রাখা বা মাটির উর্ধ্বমূখী তাপমাত্রার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। জাতগত বৈশিষ্ট্যের কারণেও এ সমস্যা হয়।
nবিকৃতি (Malformation)t বিকৃতি সাধারণত ২ প্রকার। যথাঃ অঙ্গজ এবং মঞ্জুরী বিকৃতি। অঙ্গজ বিকৃতি ছোট চারাগাছে এবং মঞ্জুরী বিকৃতি দেখা যায় ফলন্ত পর্যায়ে। ছত্রাকজনিত (ফিউজেরিয়াম মনিলিফরমি) রোগের কারণে এ সমস্যা হয়।
nফল ফেটে যাওয়াঃ ফলের বৃদ্ধিকালে দীর্ঘ শুষ্কতা বা পানির কমতি হলে ফলের ত্বক শক্ত হয়ে যায়। তারপর হঠাৎ অধিক বৃষ্টি বা পানি পেলে ফলের ভিতরের অংশ দ্রুত বৃদ্ধি পায়, এতে ভেতরের চাপ সহ্য করতে না পেরে খোসা ফেটে যায়।
n
n দমন ব্যবস্থা
nএ্যানথ্রাকনোজ প্রতিকারঃ যেহেতু এই ছত্রাকটি গাছের মরা ডালপালায় বেঁচে থাকে, তাই যত দ্রুত সম্ভব আক্রান্ত অংশ কেটে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কাটা অংশে বর্দোপেস্ট (প্রতি লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম তুঁতে ও ১০০ গ্রাম চুন) লাগাতে হবে।গাছের নীচে পড়া মরা পাতা কুড়িয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মি.লি. টিল্ট ২৫০ ইসি অথবা ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম-৪৫ মিশিয়ে সমস্ত মুকুল ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। এক মাস পর আমের আকার মটর দানার মত হলে আরেকবার গাছের পাতা, মুকুল ও ডালপালা ভালভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে ৫৫০সে. তাপমাত্রার গরম পানিতে ৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে কার্যকরভাবে এই রোগ কম হয়।
nপাউডারী মিলডিউ প্রতিকারঃ প্রতি লিটার পানিতে থিওভিট ২ গ্রাম অথবা ব্যাভিস্টিন ১ গ্রাম বা বেনলেট ১ গ্রাম অথবা টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ভালভাবে স্প্রে করতে হবে। গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ম বার স্প্রে করতে হবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে। যদি প্রয়োজন হয় তবে আরো ২টি স্প্রে ১৫ দিন অন্তর ফুল সম্পূর্ণ ফোটার পর এবং গুটি বাধার পর দিতে হবে।
nশুটি মোল্ড প্রতিকারঃ আমের শোষক পোকা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে (বর্ণিত নিয়মে)। ০.২% ভেজানোপযোগী সালফার বা ০.২% থিওভিট স্প্রে করতে হবে। আগাছা, রোগাক্রান্ত অংশ ধ্বংস করতে হবে।
nআগা-মরা /ডাইব্যাক প্রতিকারঃ আক্রান্ত ডগা কিছু সুস্থ অংশসহ কেটে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কাটা অংশে বর্দোপেষ্ট (১০%) এর প্রলেপ দিতে হবে। বর্দো মিশ্রন (১%) অথবা ইন্ডোফিল এম-৪৫ ২ গ্রাম/লিঃ হারে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করতে হবে।
nআমের বোঁটা পচা রোগ প্রতিকারঃ পরিস্কার শুষ্ক দিনে বোঁটা সহ ফল সংগ্রহ করতে হবে। খবরের কাগজ বা খড় বিছিয়ে বোঁটা নীচের দিকে করে আম রাখতে হবে যাতে কষ আমের গায়ে না লাগে। আম সংগ্রহ, পরিবহন ও সংরক্ষণের সময় যেন কোন ক্ষত সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ৪৩০ সে. তাপমাত্রায় ৬% বোরাক্স মিশ্রনে ৩ মিনিট আম ডুবিয়ে রাখতে হবে।
nব্লাক টিপ প্রতিকারঃ আম বাগান ইটের ভাটা থেকে পূর্ব-পশ্চিমে কমপক্ষে ১.৬ কি.মি. এবং উত্তর-দক্ষিণে ০.৮ কি.মি. দূরে স্থাপন করতে হবে। চিমনীর উচ্চতা কমপক্ষে ১৫-১৮ মি. হতে হবে। বোরাকা্র ০.৬% এবং কস্টিক সোডা ০.৪% ফুল আসার আগে, পরে এবং গুটি বাঁধা পর্যায়ে তিনবার স্প্রে করলে এসিড গ্যাসকে প্রশমিত করে ভাল ফল পাওয়া যায়।
nপাতা পোড়া প্রতিকারঃ পটাশিয়ামের উৎস হিসেবে পটাশিয়াম সালফেট সার ব্যবহার করতে হবে। তীব্র অবস্থায় নতুন গজানো পাতায় ৪-৫ বার পটাশিয়াম সালফেট (৫%) ১৫ দিন অন্তর অন্তর স্প্রে করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
nস্পঞ্জি টিস্যু প্রতিকারঃ মাটির তাপমাত্রা কমাতে হবে। পরিষ্কার চাষাবাদের তুলনায় মালচিং এর মাধ্যমে মাটির তাপমাত্রা ২০০সে. পর্যন্ত কমিয়ে রাখা যায়। আমের যে সমস্ত জাতে এগুলো বেশি হয় সে সমস্ত জাত চাষ পরিহার করা।
nবিকৃতি (Malformation) প্রতিকারঃ গাছের আক্রান্ত অংগ ছাঁটাই করতে হবে। বেনলেট ১ মি.লি. প্রতিলিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। অক্টোবর মাসে ২০০ পিপিএম NAA স্প্রে করতে হবে। রোগমুক্ত গাছ থেকে চারা সংগ্রহ করতে হবে।
nফল ফেটে যাওয়া প্রতিকারঃ ফলের বৃদ্ধি পর্যায়ে নিয়মিত পানি সেচ দিতে হবে। মালচিং করতে হবে। বর্ষার শেষে গাছ প্রতি ৫০ গ্রাম হারে বরিক এসিড অথবা ১০০ গ্রাম হারে বোরাক্স সার প্রয়োগ করতে হবে।
n
n পোকামাকড় দমন ব্যবস্থা
n
n পোকামাকড়
nআমের হপারঃ ফুল আসার সময় এই পোকাটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে। ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এটি গাছের বাকলের কোটরে লুকিয়ে থাকে এবং এর পর সক্রিয় হয়। পূর্ণাঙ্গ পোকা ক্ষতিকর হলেও হপার নিম্ফ বেশি মারাত্বক। এরা কচি ডগা ও মুকুল থেকে রস চুষে খায়। এর ফলে মুকুল শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে ঝরে যায়। এছাড়া নিম্ফগুলো রস চোষার সাথে সাথে আঠালো মধুরস নিঃসরণ করে যা মুকুল ও গাছের পাতায় আটকে গিয়ে মুকুলের পরাগায়ন প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত করে। এই মধুরসে শুটি মোল্ড জন্মে যা পরে কাল হয়ে যায়। মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় এদের প্রকোপ বেশী হয়।
nকান্ডের মাজরা পোকাঃ পোকার লার্ভা কান্ড ছিদ্র করে কান্ড বা শাখা-প্রশাখায় সুরঙ্গ সৃষ্টি করে মজ্জা অংশ খেতে থাকে। এতে আক্রামত্ম স্থানের উপরের অংশ মারা যায়, আক্রামত্ম শাখা সহজেই ভেঙ্গে যায় এবং প্রকোপ বেশী হলে সম্পূর্ণ গাছটিই মারা যায়। সুরঙ্গ পথের মুখে পোকার মল দ্বারা সৃষ্ট শক্ত ছোট বল দ্বারা এই পোকার উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়।
nফল ছিদ্রকারী উইভিল পোকাঃ সাধারণত যমুনার পূর্বাঞ্চলের জেলা গুলোতে এ পোকার আক্রমণ বেশি হয়। স্ত্রী পোকা মার্চ-এপ্রিল মাসে কঁচি আমের গায়ে মুখের শুঁড়ের সাহায্যে ছিদ্র করে ডিম পাড়ে এবং ফল বড় হওয়ার সাথে সাথে ছিদ্রটি মিলিয়ে যায়। ডিম পাড়ার ৭ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে কীড়া বের হয় এবং কীড়াগুলো ফলের শাঁসের মধ্যে আঁকাবাঁকা সুরঙ্গ তৈরি করে খেতে থাকে। বাইরে থেকে ভাল মনে হলেও আক্রান্ত আমের ভিতরেই কীড়াগুলো পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গ পোকায় রূপান্তরিত হয় এবং উইভিল ভিতর থেকে আমের খোসা ছিদ্র করে বের হয়ে যায়। একবার কোন গাছে এ পোকার আক্রমণ হলে প্রতি বছরই সে গাছটি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
nআমের পাতা কাটা উইভিলঃএ পোকা গাছের নতুন পাতা কেটে মাটিতে ফেলে দেয়। সদ্য রোপণকৃত বা নার্সারীতে সংরক্ষত চারা গাছ এ পোকার আক্রমণে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
nফলের মাছি পোকাঃ আম পাকার সময় স্ত্রী মাছি পোকা ডিম পাড়ার অঙ্গের সাহায্যে ফলত্বক ছিদ্র করে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার ২-৩ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে কীড়া বা ম্যাগট বের হয় এবং ফলের শাঁস খেতে থাকে। আক্রান্ত আম বাইরে থেকে বোঝা যায়না কিন্তু কাটলে আমের ভিতরে অসংখ্য কীড়া দেখা যায়।
nফল ছিদ্রকারী পোকাঃ এ পোকার কীড়া আমের সরু প্রান্তে বিন্দুর মত ছিদ্র করে ভিতরে ঢুকে এবং প্রথমে শাঁস ও পরে আটি খাওয়া শুরু করে। প্রাথমিক অবস্থায় ছিদ্র পথ হতে সাদা ফেনা বের হয় এবং পরবর্তী কালে আক্রান্ত স্থান ফেটে যায় ও পচন ধরে। আক্রামত্ম আম অচিরেই ঝরে পড়ে।
nমিলিবাগঃ মে মাসের দিকে স্ত্রী পোকা গাছের গোড়ায় মাটির ৫-১৫ সে.মি. গভীরে ডিম পাড়ে। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয় এবং দলবদ্ধভাবে গাছের উপরের দিকে বেয়ে বেয়ে উঠতে শুরু করে। এরা কচি ডগা ও মুকূল থেকে রস চুষে খায় ফলে এগুলো শুকিয়ে যায় এবং ফলন মারাত্বকভাবে ব্যহত হয়। এছাড়া রস চোষার সাথে সাথে এরা আঠালো মধুরস নিঃসরণ করে যা ফুল, ফল ও গাছের পাতায় আটকে যায় এবং সেখানে শুটি মোল্ড জন্মে ।
nআম পাতার গল মাছিঃ এ পোকার বিভিন্ন প্রজাতির উপর ভিত্তি করে আক্রান্ত পাতায় ধুসর, সবুজ বা বাদামী বর্ণের গোলাকার ও উচুঁ বসন্তের মত গুটি হয়। মার্চ, জুলাই ও অক্টোবর মাসে স্ত্রী পোকা পাতার নীচের দিকে ডিম পাড়ে। এর পর লার্ভা বের হয়ে পাতার ভেতরে টিস্যুতে ঢুকে যায়, এর ফলে পাতা উপরের দিকে ফুলে উঠে। লার্ভাগুলো গল এর ভেতরে থেকে পাতার রস চুষে খায় এবং পাতার কার্য ক্ষমতা বিনষ্ট করে ফেলে।
nপাতাখেকো শুয়ো পোকাঃ এ পোকার আক্রমণে গাছ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে পত্রশূন্য হয়ে পড়ে। শুঁয়ো পোকা পত্রফলক সম্পূর্ণ খেয়ে শুধু মধ্যশিরাটি বা পার্শ্বশিরাগুলো রাখে। আক্রান্ত গাছে অসময়ে নতুন বিটপ বের হয় ফলে গাছে ফুল আসে না।
n
n দমন ব্যবস্থা
nআমের হপার প্রতিকারঃ আম গাছে মুকুল আসার ১০ দিনের মধ্যে একবার এবং এর একমাস পর আরো একবার প্রতি লিটার পানির সাথে ১ মি.লি. হারে সাইপারমেথ্রিন (রিপকর্ড/ সিমবুশ/ ফেনম/বাসাথ্রিন/অন্য নামের) ১০ ইসি অথবা ০.৫ মি.লি. হারে ডেল্টামেথ্রিন (ডেসিস) ২.৫ ইসি অথবা ফেনভ্যালিরেট (সুমিসাইডিন/মিলফেন/অন্য নামের) ২০ ইসি নামক কীটনাশক মিশিয়ে আম গাছের কান্ড, ডাল, পাতা এবং মুকুল ভালভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করে হপার দমন করা সম্ভব। বর্ষা মৌসুম শেষে বছরে একবার পূর্ণ বয়স্ক আম গাছের অপ্রয়োজনীয় মৃত, অর্ধমৃত ডালপালা ছাঁটাই করে আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করলে হপারের প্রাদুর্ভাব প্রায় ৩০-৮০ শতাংশ কমে যায়
nকান্ডের মাজরা পোকা প্রতিকারঃ ছিদ্র দিয়ে সূঁচালো লোহার শিক ঢুকিয়ে খুঁচিয়ে পোকা মারা সম্ভব। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে আক্রমণের সুরঙ্গমুখ পরিস্কার করে তার মধ্যে কেরোসিন বা পেট্রোল ভেজানো তুলা ঢুকিয়ে সুরঙ্গ মুখ কাদা বা পুডিং দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে।
nফল ছিদ্রকারী উইভিল পোকা প্রতিকারঃ মুকুল আসার পূর্বে পৌষ-মাঘ মাসে সম্পূর্ণ বাগান বা প্রতিটি আম গাছের চারদিকে ৪ মিটারের মধ্যে সকল আগাছা পরিস্কার করে ভালভাবে মাটি কুপিয়ে উল্টে দিলে মাটিতে থাকা উইভিলগুলো ধ্বংস হয়। আম সংগ্রহের পর গাছের সমস্ত পরগাছা ও পরজীবী উদ্ভিদ ধ্বংস করতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ১ মি.লি. হারে সাইপারমেথ্রিন (রিপকর্ড/সিমবুস/ফেনম/ বাসাথ্রিন) ১০ ইসি জাতীয় কীটনাশক মিশিয়ে কাছের কান্ড, ডাল ও পাতা ভালভাবে ভিজিয়ে ১৫ দিন অমত্মর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
nআমের পাতা কাটা উইভিল প্রতিকারঃ মাটি থেকে পোকার ডিমযুক্ত নতুন কাটা পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করলে এ পোকার সংখ্যা কমিয়ে ফেলা সম্ভব। নার্সারীতে নতুন বের হওয়া পাতাসহ ডগাকে মশারীর নেট দিয়ে ঢেকে দিলে পোকার আক্রমণ কম হয়। গাছে কচি পাতা বের হওয়ার সাথে সাথে কচি পাতায় প্রতি লিটার পানির সাথে ১ মি..ল. হারে সাইপারমেথ্রিন (রিপকর্ড/সিমবুস/ ফেনম/ বাসাথ্রিন) ১০ ইসি অথবা ১ মি..ল. হারে ফেনিট্রোথিয়ন (সুমিথিয়ন/ ফলিথিয়ন/ এগ্রোথিয়ন) ৫০ ইসি মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
nফলের মাছি পোকা প্রতিকারঃপরিপক্ক কিন্তু সবুজ আম গাছ থেকে সংগ্রহ করলে এ পোকার আক্রমণ এড়ানো সম্ভব। পোকাক্রান্ত আমগুলো সংগ্রহপূর্বক মাটিতে গভীর গর্ত করে পূঁতে ফেলতে হবে। বাদামী কাগজ বা পলিথিন দিয়ে ফল ব্যাগিং করতে হবে। ফল সংগ্রহের অন্তত এক মাস পূর্বে বিষটোপ ফাঁদ হিসেবে ১০০ গ্রাম পাকা আম থেঁতলে এর সাথে ১ গ্রাম সেভিন ৮৫ ডব্লিউপি বা সেকুফোন ৮০ এসপি বিষ ব্যবহার করতে হবে (বিষটোপ ২-৩ দিন পর পর পরিবর্তন করতে হবে) অথবা ফল সংগ্রহের এক-দেড় মাস পূর্বে মিথাইল ইউজেনলযুক্ত সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে।
nফল ছিদ্রকারী পোকা প্রতিকারঃ মার্চ-এপ্রিল মাসে ঝরে যাওয়া আক্রান্ত কচি ফল মাটি থেকে সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে । মার্চ মাসের ১ম সপ্তাহ থেকে শুরু করে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার প্রতি লিটার পানির সাথে ২ মি.লি. হারে ফেনিট্রোথিয়ন(সুমিথিয়ন/অন্যনামের) ৫০ ইসি মিশিয়ে আমে স্প্রে করলে এ পোকার আক্রমণ কমানো সম্ভব হবে।
nমিলিবাগ প্রতিকারঃ আক্রান্ত পাতা ও ডগা সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। আক্রমণের মাত্রা বেশী হলে ডাইমেথয়েট জাতীয় কীটনাশক (পারফেকথিয়ন/টাফগর/অন্য নামের) প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি. হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২-৩ বার আক্রান্ত গাছে ছিটাতে হবে। মিলিবাগের আক্রমণ প্রতিহত করতে চাইলে গাছের গোড়ার চারদিকে গরমের সময় খুঁড়ে দিতে হবে। এরপর ডিসেম্বর মাসে মাটি থেকে ৩০-৪৫ সে.মি. উপরে গাছের কান্ডে গ্রীজ ও আলকাতরা ১:২ অনুপাতে অথবা রেজিন ও কেস্টর অয়েল ৪:৫ অনুপাতে মিশিয়ে আঠালো বন্ধনী আকারে প্রয়োগ করতে হবে।
nআম পাতার গল মাছি প্রতিকারঃ বর্ষার শেষে আক্রান্ত পাতা বা পাতাসহ আক্রান্ত ছোট ডাল ছাঁটাই করতে হবে। রগর/রক্সিয়ন/এজোড্রিন ২মি.লি. প্রতি লিটার পানির সাথে মিশিয়ে আমের নতুন পাতায় ১৫ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করতে হবে।
nপাতাখেকো শুয়ো পোকা প্রতিকারঃ পূর্ণতাপ্রাপ্ত শুঁয়ো পোকা কীটনাশক প্রয়োগে মারা খুব কঠিন বিধায় আম গাছে শুঁয়ো পোকার ছোট ছোট কীড়া দেখা দেয়া মাত্র সেগুলো পাতাসহ সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে। প্রতি লিটার পানির সাথে ২মি.লি. হারে ডাইমেথয়েট জাতীয় কীটনাশক (রগর/রক্সিয়ন/টাফগার ৪০ ইসি বা অন্য নামের) মিশিয়ে স্প্রে করলে এ পোকার আক্রমণ কমানো সম্ভব।
n
n সার ব্যবস্থাপনা
n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

n

সারের নাম গাছের বয়স(বছর)
১০ ১১১৫ ১৬২০ ২০ এর উর্দ্ধে
গোবর (কেজি) ২০ ২৫ ৩০ ৩৫ ৫০ ৭০
ইউরিয়া (গ্রাম) ৩০০ ৪০০ ৮০০ ১২০০ ১৭০০ ২২০০
টিএসপি (গ্রাম) ৩০০ ৩৫০ ৫০০ ৬০০ ৭৫০ ১২০০
এমওপি(গ্রাম) ২০০ ২৫০ ৩০০ ৪০০ ৫০০ ৮০০
জিপসাম (গ্রাম) ১৫০ ২০০ ২৫০ ৩৫০ ৪০০ ৫০০
জিংক সালফেট(গ্রাম) ২০ ২৫ ৩০ ৩৫ ৪০ ৪৫
বরিক এসিড ৩০ ৪০ ৫০ ৬০ ৭০ ৮০

nতথ্য সূত্রঃ কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার
n

Shipping & Delivery

MAECENAS IACULIS

Vestibulum curae torquent diam diam commodo parturient penatibus nunc dui adipiscing convallis bulum parturient suspendisse parturient a.Parturient in parturient scelerisque nibh lectus quam a natoque adipiscing a vestibulum hendrerit et pharetra fames nunc natoque dui.

ADIPISCING CONVALLIS BULUM

  • Vestibulum penatibus nunc dui adipiscing convallis bulum parturient suspendisse.
  • Abitur parturient praesent lectus quam a natoque adipiscing a vestibulum hendre.
  • Diam parturient dictumst parturient scelerisque nibh lectus.

Scelerisque adipiscing bibendum sem vestibulum et in a a a purus lectus faucibus lobortis tincidunt purus lectus nisl class eros.Condimentum a et ullamcorper dictumst mus et tristique elementum nam inceptos hac parturient scelerisque vestibulum amet elit ut volutpat.