বকুল ফুল গাছ- Bokul

বকুল (বৈজ্ঞানিক নাম:Mimusops elengi) হচ্ছে মিনাসপ্স্‌ (Minasops) প্রজাতির একটি ফুল।
n
nএটি মাঝারি আকারের গাছ, ফুল গুলো দেখতে ছোট ছোট তারার মতো। বকুল ফুলের সুবাসে থাকে মিষ্টি গন্ধ। ফুল শুকিয়ে গেলেও এর সুবাস অনেক দিন পর্যন্ত থাকে।
n
nবকুলের গুনাগুনঃ 
n
nবকুল ফুল, কাচা ফল, পাকা ফল, পাতা, গাছের ছাল, কাণ্ড, কাঠ সব কিছুই কাজে লাগে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে এর ব্যবহার রয়েছে।
n
n১. বকুল ফুলের রস হৃদযন্ত্রের অসুখ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়।
n২. শুকনা ফুলের গুঁড়া দিয়ে তৈরী ঔষধ “আহওয়া” নামক এক ধরনের কঠিন জ্বর, মাথা ব্যথা এবং ঘার, কাঁধ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে সৃষ্ট ব্যাথার নিরাময়ে ব্যবহার হয়।
n৩. শুকনা ফুলের গুঁড়া মাথা ঠান্ডা রাখে ও মেধা বাড়াতে উপকারী।
n৪. শুকনো বকুল ফুলের গুঁড়া নাক দিয়ে নিঃশ্বাসের সাথে টেনে নিলে মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
n৫. বকুল গাছের ছাল দিয়ে কাটা ছেঁড়ার ক্ষত পরিষ্কার করা যায়। এছাড়াও বকুল গাছের ছাল ও তেঁতুল গাছের ছাল সিদ্ধ করে পাচনের মাধ্যমে তৈরি তরল ঔষধ ত্বকের নানারকম রোগ সারাতে ব্যবহৃত হয়।
n৬. বকুল গাছের কাণ্ড থেকে পাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক ধরনের ঔষধ তৈরি করা হয় যা দাঁতের সমস্যা নিরাময়ে অনেক উপকারী। এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় ফিলিপাইনে। এছাড়াও এ ঔষধ জ্বর ও ডায়রিয়া থেকে আরোগ্য লাভের জন্যে ব্যবহার করে ফিলিপাইনের অধিবাসীরা। স্থানিয় লোকেরা এ তরল পানি দিয়ে গার্গল করে গলার অসুখের নিরাময়ের জন্যে। মুখ ধোয়ার তরল ঔষধ যা মাড়ি শক্ত করে।
n৭. বকুলের পাতা সিদ্ধ করে মাথায় দিলে মাথা ব্যাথা কমে যায়। পাতার রস চোখের জন্যেও উপকারী।
n৮. কাঁচা ফল প্রতিদিন ২-৩ টি করে চিবিয়ে খেলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়।
n৯. ভারতে এ ফুল দিয়ে তৈরি তরল, সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে।
n১০. ফুল দিয়ে মালা গাঁথার প্রচলন অনেক পুরনো দিন থেকে চলে আসছে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন এলাকার নারীরা এই ফুলের মালা চুলে পরে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যে।
n১১. পাকা ফল খাওয়া যায়। মালয়’রা বকুল ফল সংরক্ষণ করে রাখে এবং আচার তৈরি করে।
n১২. অনেক এলাকায় বকুল গাছের কাণ্ড বা নরম ডাল দাঁত মাজার জন্যে ব্যবহার করে।
n১৩. বকুল কাঠ অনেক দামি আর দুষ্প্রাপ্য কাঠ। এর কাঠ অনেক শক্ত হয় কিন্তু খুব সহজে কাটা যায় আর খুব সুন্দর ভাবে পালিশ করা যায়. এ কাঠের রঙ গাঢ় লাল।