প্রচলিত নাম : বচ্
ইংরেজী নাম : Sweet Flag.
বৈজ্ঞানিক নাম : Acorus calamus Linn.
পরিবার : Araceae
পরিচিতি : বচ্ বহুবর্ষজীবী কন্দমূলীয় স্বল্প কন্দ। এর কাণ্ড মাটির নীচে থাকে। পাতা অনকেটা ধান পাতার মত সবুজ, পাতা মাটির উপরে উর্ধমূখী হয়ে থাকে। কন্দ থেকে পাতাগুলি চারিদিকে ঘুরেঘুরে না গজিয়ে বিপরীতমূখী হয়ে গজিয়ে চ্যাপ্টা আকারে ধারন করে। তবে পাতা লোমযুক্ত বা ধারালো নয়, অপেক্ষাকৃত মসৃণ। মাটির নীচে গন্ধযুক্ত কন্দ বিস্তারলাভ করে। এটি স্কুল ও গাঁটবহুল। ফুল স্প্যাডিক্স ধরনের এবং ৫-১০ সে.মি. লম্বা পুষ্পদন্ডে হালকা সবুজ রং-এর ছোট ছোট ফুল ফোটে। ফল হালকা হলুদ বর্ণের। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বকে একসময় ব্যবহার উপযোগী মুখ্য মসলা হিসেবে ধরা হতো।
বিস্তৃতি : চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের নীচু ও জলা/আর্দ্র এলাকায় এটি দেখা যায়।
বংশ বিস্তার : মাটির নীচর কন্দের গাঁট থেকে চোখ বা কুঁড়ি বের হয়ে নতুন কুশি গজায়, এগুলি সংগ্রহ করে লাগালে নতুনভাবে বংশ বৃদ্ধি হয়।
ঔষধি ব্যবহার : বচ-এর ওষুধি গুণের উল্লেখ পূর্ব হতেই আছে। অথর্ব বেদে বজ’ পরবর্তীতে বচ হিসেব আয়ুর্বেদীয় সংহিতা এবং চারক সংহিতায়ও এর ভেষজ গুণের উল্লেখ লক্ষ্য করা যায়। এমনকি বাইবেল-এও এর উল্লেখ আছে।
১) কাচা বচের মূলের রস ২০-৩০ ফোটা গরম পানিসহ প্রতিদিন ২/৩ বার খেলে পেট ফাঁপায় আরাম হয়। তবে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বেলায় নাভির চারিদিকে বচের প্রলেপ দিলে উপশম হয়।
২) বচ্ ২৫০ মি.গ্রা, ঘৃত বা মধুসহ বেটে খেলে মেধাবৃদ্ধি হয়।
৩) আমবাতে বচ্ বেটে প্রলেপ দিলে ফোলা ও ব্যথা প্রশমিত হয়।
৪) কানের ভিতর ভোঁ ভোঁ শব্দ হলে বা যন্ত্রণা হলে বচ্ এর রস কানে দিলে যন্ত্রণা লাঘব হয়।
৫) অর্শরোগে মলদ্বারে ব্যথা থাকলে বচ পুড়িয়ে ধোঁয়া দিলে ব্যথা কমে যায়।
রাসায়নিক উপাদান : 1) Leaves contains a) Qxalic acid, b) Calcium 2) Rhizomes contains- a) Acorin b) Glucoside, c) Aromatic volatile oil, d) Essenlial oil