হাইপোথাইরয়েডিজম লক্ষণ ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
হাইপোথায়রয়ডিজম
হাইপোথায়রয়ডিজম (hypothyroidism) হলো থায়রয়েড গ্ল্যান্ড এর নিঃসরণ স্বাভাবিকের চেয়ে কম হওয়ার দরুন সৃষ্ট একটি রোগাবস্থা ।
হাইপোথায়রয়ডিজম এর কারণ
১. অটোইমিউন: যেমন হাসিমোটো থায়রয়ডায়টিস, স্পন্টানিয়াস এট্রপিক হাইপোথায়রয়ডিজম, গ্লাভস ডিজিজ।।
২. চিকিৎসা জণিত কারণ; যেমন- থায়রয়ডেকটমি, কিছু ঔষধ ( কাৰ্বিমাজল, লিথিয়াম ইত্যাদি)।
৩. ট্রানজিয়েন্ট থায়রয়ডায়টিস: সাব-একিউট থায়রয়ডায়টিস, পোস্ট-পারটাম । থায়রয়ডাটিস।
৪. আয়োডিনের অভাব
৫. জন্মগত ত্রুটি।
৬. টিএসএইচ হরমোনের অভাব
৭. অন্যান্য; যেমন- এমাইলয়ডোসিস, সারকোয়ভোসিস ইত্যাদি।
হাইপোথায়রয়ডিজম এর লক্ষণ
ক্লান্তি অনুভূতি
শরীরবেদনা ও দেহের সন্ধিতে বেদনা
ওজন বেড়ে যাওয়া
ক্ষুধামন্দা
ঠান্ডার প্রতি কাতরতা
দুর্বল স্মৃতিশক্তি
মানসিক সমস্যা: ডিপ্রেশন, সাইকোসিস ইত্যাদি
কনসটিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্য
মহিলাদের ক্ষেত্রে মেনোরেজিয়া কিংবা অলিগোমেনোরিয়া
যৌনাকাংখা কমে যাওয়া
মাথা: শুস্ক পাতলা চুল
চোখ; আইব্রো ঝড়ে পড়া, চোখ ফোলা ফোলা
গলা: গয়টার বা গলগন্ড থাকতে পারে
কার্ডিওভাসকুলার: হাইপারটেনশন, ব্রাডিকার্ডিয়া
হাত ও পা প্রান্তদিক শীতল, ইডেমা।
তৃক: শুস্ক ত্বক।
এনিমিয়া থাকতে পারে।
হাইপারথায়রয়ডিজম
হাইপারথায়রয়ডিজম (hyperthyroidism) হলো একটি রোগাবস্থা যা থায়রয়েড হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণের ফলে সৃষ্ট।
হাইপারথায়রয়ডিজম এর কারন
১. এ্যাভস ডিজিজ
২. মাল্টিনভুলার গয়টার
৩. সলিটারী থাইরয়েড নড়ুলের স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রিয়া সম্পাদন।
৪. থায়রয়ডায়টিস
৫. আয়োডিন প্রণোদিত কারন; যেমন- ঔষধ (যেমন-এমিওডারন),
রেডিওগ্রাফিক কনট্রাস্ট মিডিয়া।
৬. থায়রয়েড হরমোনের এক্সট্রাথায়রয়েড় উৎস: ফ্যাকটিসিয়াস হাইপারথায়রয়ডিজম, স্ট্রমা অভারী।।
৭. টিএসএইচ প্রণোদিত কারন; টিএসএইচ ক্ষরণকারী পিটুইটারী এডেনোমা, কোরিওকার্সিনোমা ও হাইডাটিডিফরম মোল।
৮. থায়রয়েড গ্ল্যান্ড এর ফলিকুলার কার্সিনোমা।
হাইপারথায়রয়ডিজম এর লক্ষণ
১. ক্লান্তি লাগা।
২. তাপ অসহ্য হওয়া।
৩. দেহের ওজন কমে যাওয়া।
৪. অতিরিক্ত ক্ষুধা।
৫. চোখ: এক্সোপথালমস, লাল চোখ, অতিরিক্ত ল্যাক্রিমেশন (চোখ থেকে পানি পড়া)।
৬. উত্তপ্ত ও আর্দ্র হাতের তালু।
৭. অতিরিক্ত ঘামা।
৮. পালপিটেশন (বুক ধরফর করা), টাকিকার্ডিয়া (হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া)।
৯. উদ্বিগ্নতা, অসহিষ্ণুতা ও অন্যান্য আবেগজণিত সমস্যা।
১০. পুরুষদের ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীণতা, যৌনাকাঙ্খা কমে যাওয়া।
১১. মহিলাদের ক্ষেত্রে: এমেরিয়া, অলিগোমেনোরিয়া।