গরান গাছ
গরান
প্রচলিত নাম : গরান
ইংরেজী নাম : Goran
বৈজ্ঞানিক নাম : Ceriops decandra (Grift), Ding How.
পরিবার : Rhizophoraceae
পরিচিতি : গরান ঝোপ জাতীয় জ্বালানী কাঠের চিরসবুজ গাছ। উহা সুন্দরবনের উত্তরে জ্বালানী হিসেবে পরিচিত। গড় উচ্চতা ৪-৮ মিটার। পাতা বিপরীত, পুরু ও উজ্জ্বল। ফুল ছোট, বৃতি ৫টি খণ্ডে বিভক্ত। ফল সরু, সবুজ বর্ণের এবং ১২ সে. মি. পর্যন্ত লম্বা হয়। গরান অধিক লবণাক্ত অঞ্চলে ভাল জন্মে। বিশেষ করে গরানের জন্য সাতক্ষীরা রেঞ্জ উল্লেখযোগ্য। গরানের প্রাকৃতিক বংশ বিস্তার সফলভাবে হয়ে থাকে বিধায় নার্সারী ও বাগান সাধারণতঃ করা হয় না। উপকূলীয় বনায়নে গরান বাগান উত্তোলন এখনও করা হয়নি।
বিস্তৃতি : সুন্দরবন ও চকরিয়া সুন্দরবন এলাকায় ভাল জন্মে।
বীজ সংগ্রহ : জুন-জুলাই মাসে গাছ থেকে পড়া বীজ বা প্রপাগিউল সংগ্রহ করা হয়। বীজ ফলের গড় দৈর্ঘ্য ১০-১২ সে. মি. পর্যন্ত। এক কেজিতে ১৫০-২০০টি বীজফল হয়।
নার্সারী ও বাগান উত্তোলন : গানের প্রকৃতপক্ষে কোন নার্সারী করা শুরু হয়নি। বাগানে চারা না লাগিয়ে সরাসরি প্রপাগিউল বা বীজফল কাঁকড়ার মতো লাগানো যায়। তবে জীবিত হার কম হয়। কাঁকড়ার মতো পলিব্যাগে চারা উত্তোলন করে ৮-১০ মাস বয়সের চারা বাগানে লাগালে ৮০-৯০% চারা বাঁচে।
সাধারণ ব্যবহার : কাঠ খুবই শক্ত। জ্বালানী হিসাবেই অধিক ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বেড়া, কুঁড়েঘরের খুঁটি ও লাঠি হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। কাঠ থেকে ট্যানিন পাওয়া যায় এবং উহা চামড়া ট্যানিনে ব্যবহৃত হয়। বাকল থেকে একধরনের কালো রং তৈরী হয়। গরান ফুল থেকে ভাল মধু হয় যা মৌমাছির মধু আহরণে সহায়ক।