গাছপালা

বাবুল গাছ

প্রচলিত নাম : একাশিয়া

ইংরেজী নাম : Acacia

বৈজ্ঞানিক নাম : Acacia nilotica L. Del.

পরিবার : Leguminosae S.E. Mimosoidae

পরিচিতি : পত্রমোচি মধ্যম আকৃতির বৃক্ষ এবং ৫-১৪ মিটর উঁচু হয়। গাছের বাকল অমসৃণ, কালো বা গাঢ় বাদামী বর্ণের। ডাল ও পাতায় জোড়া জোড়া সাদা বর্ণের ৮ সে. মি. লম্বা পর্যন্ত কাটা আছে। পাতা যৌগিক, পিনি ২-১১ জোড়া ও পত্রক ৭-২৫ জোড়া থাকে। ফুল সোনালী হলুদ বর্ণের হয়। ফল পড় সোজা, বাঁকানো এবং লম্বায় ৮-১৭ সে. মি. হয়। বীজ গাঢ়, কালো, বাদামী বর্ণের মসৃণ ও চ্যাপ্টা।

বিস্তৃতি : বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জন্মে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার প্রান্তিক ও পতিত জমিতে বিশেষ করে সড়কের পাশে ও বাঁধের ধারে এই গাছ প্রচুর পরিমাণে লাগানো হচ্ছে।

ফুল ফোটার সময় : জুন-সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর-জানুয়ারী।

বীজ সংগ্রহ : মার্চ-মে।

বীজের ওজন : কেজিতে ৭,০০০-১১,০০০টি।

সাধারণ ব্যবহার : সারকাঠ হালকা লাল খুব শক্ত, দৃঢ়, ও টেকসই। কাঠ ঘূণ পোকায় আক্রান্ত হয় না। ভাল পালিশ নেয়। ঘরের খুঁটি, কড়ি, চৌকাঠ, লাঙ্গল, গাড়ির চাকা ইত্যাদি বানানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। কাঠ খুব শক্ত। জ্বালানী হিসেবেও উত্তম। ওজন ৮১৬ কেজি/ ঘনমিটার। বাবলা গাছের ছালে উত্তম ট্যানিন পাওয়া যায়। এই ট্যানিন সাধারণতঃ জুতার সোলের জন্য যে চামড়া ব্যবহার করা হয় তা ট্যান করার কাজে ব্যবহৃত হয়। বাবলার ফল খুবই উৎকৃষ্ঠ পশুখাদ্য। বাবলা থেকে উন্নতমানের আঠা পাওয়া যায়। বাবলা গাছের ছাল ও পাতা ঔষধী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া, কাঠ হুক্কার ডাট, রং-এর ব্লক, ব্যায়ামাগারের যন্ত্র, দাড়, খোদাই কাজ, চিনি ও তেলের মিলে, কৃষি উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *